রাঙামাটি প্রতিনিধি
ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ হত্যা
রাঙামাটিতে স্কুলছাত্রীকে হত্যায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
রাঙামাটির চন্দ্রঘোনার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অংবাচিং মারমা নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন। রাঙামাটিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কোনো আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে চন্দ্রঘোনার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ সময় তাকে প্রাইভেট (গৃহশিক্ষক) পড়াতেন অংবাচিং মারমা। ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকালে চন্দ্রঘোনা থানার একটি এলাকায় প্রাইভেট পড়ানোর পরে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন তিনি। এতে ব্যর্থ হলে ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মৃতদেহ বস্তায় ভরে লুকানোর চেষ্টা করেন অংবাচিং। পরে এলাকাবাসী ও ছাত্রীর বাবা-মায়ের সন্দেহ হলে প্রাইভেট শিক্ষক অংবাচিংয়ের বাড়িতে গোপনে পাহারা দেন। এক পর্যায়ে গভীর রাতে বস্তায় ভরা অবস্থায় মৃতদেহ সরানোর সময়ে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে অংবাচিং মারমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় চন্দ্রঘোনা থানা-পুলিশ। পরে ছাত্রীর বাবা চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা করেন।
এদিকে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অংবাচিং মারমাকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সরকারি কৌঁসূলি (পিপি) সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, ‘আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড রায়সহ ১ লাখ টাকা জরিমানার দণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। হত্যা মামলার এই রায়ে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। এতে সমাজ থেকে অপরাধও কমে আসবে।’
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আসামিপক্ষের পরিবার রয়েছে। তারা আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিবেন, আপিল করবে কি করবে না। তবে তারা যদি আপিল করে, তবে সহযোগিতা করা হবে।’
পিডিএস/আরডি