ফেনী প্রতিনিধি

  ২৫ মে, ২০২৪

গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ, শঙ্কায় খামারিরা

ফেনী সদরের পাঠানবাড়ী এলাকার আরাফাত খানের খামার হাসিনা এগ্রো -প্রতিদিনের সংবাদ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফেনীতে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর সরবরাহ বেশি। কিন্তু গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে খামারিরা। পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে তাদের ব্যয় বেড়েছে অনেক। সেই অনুযায়ী দাম না পেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে শঙ্কা খামারিদের।

ফেনী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় পাঁচ হাজার ২৪৬টি খামারে বর্তমানে কোরবানিযোগ্য পশু আছে প্রায় ৯০ হাজার। এরমধ্যে ষাড় রয়েছে ৩২ হাজার ৫টি, বলদ রয়েছে ২৮ হাজার ৩৬টি, গাভী রয়েছে ৮ হাজার ৭৬৪টি, মহিষ রয়েছে ৫ হাজার ৭২৮টি। ছাগল রয়েছে ১৪ হাজার ৫৯৫টি এবং ভেড়া রয়েছে ১ হাজার ১২৩টি।

সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশু চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা পশু লালনপালন ও বাজারজাত করার বিষয়ে খামারীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার ফেনীতে কোরবানির পশুর সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এক বা একাধিক পশু লালন পালন করছেন। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিদের দুই থেকে তিন গুণ খরচ হয়েছে। এতে পশুর দাম বাড়ায় পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।

সোনাগাজীর খামারি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, অন্য বছর গুলোয় কোরবানির ঈদের এক-দুই মাস আগেই ব্যাপারীরা গরু নিয়ে যেতেন। এবার এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাপারী পশুর খোঁজখবর নিচ্ছে না। তাই বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় এ খামারি। তার খামারে ব্রাহামা ও ফ্রিজিয়ান জাতের কয়েকটি গরুর ওজন ২৫ থেকে ৩০ মন ছাড়িয়ে যাবে।

দাগনভূঞা উপজেলার খামারি ফয়সাল আহমেদ বলেন, এক বস্তা গমের ভূষির দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। খৈলসহ সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। প্রণোদনা না দিয়ে গো-খাদ্যের দাম কমিয়ে দিলে অনেক খামারি উপকৃত হতো।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক জানান, পশুর যোগান বেশি থাকায় ঈদবাজার খামারি ও ক্রেতা উভয়ের অনুকূলে আছে। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় কোরবানির পশুর দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যদি দেশের বাইরে থেকে অবৈধ উপায়ে আমদানি বন্ধ রাখা যায় তবে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফেনী,ঈদুল আজহা,কোরবানির পশু,গো-খাদ্যের উচ্চমূল্য
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close