ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২২ এপ্রিল, ২০২৪

ভূরুঙ্গামারীতে অভিযোগ

কয়েক লাখ টাকার গাছ ৫৬ হাজারে বিক্রি

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গোপন দরপত্রের মাধ্যমে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ছয় লাখ টাকার ৫টি গাছ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ৬টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত ৭ এপ্রিল উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের পাথরডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাচীর নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়টির ৫টি গাছ নিলামে বিক্রয়ের জন্য গোপনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রে অংশ নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আবুল বাশার গাছগুলো ৫৬ হাজার টাকায় কিনে নেন। যার আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। ৫টি গাছ কাটার কথা থাকলেও গত ৭ এপ্রিল প্রকাশ্যে ৬টি গাছ কেটেছে। অপর গাছটি রাজু, সহকারী শিক্ষক রোকন ও শামছুল হক নামক ব্যক্তির কাছে মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন আবুল বাশার।

এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী গাছটি আটকে দিয়েছে। বর্তমানে গাছটি বিদ্যালয় মাঠে রয়েছে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিঘড়ি করে রাতের আঁধারে কে বা কারা গাছটি কেঠে ফেলে মর্মে একটি রেজুলেশন তৈরি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেন বলে এলাকাবাসী জানান।


  • গোপন দরপত্রের মাধ্যমে নামমাত্র টাকায় গাছ বিক্রি
  • ৫টির জায়গায় ৬টি গাছ কর্তন
  • জানাজানির পর অতিরিক্ত গাছটি আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী
  • স্কুল কর্তৃপক্ষকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ইউএনও

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির দরপত্র বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পরে এলাকাবাসীর মারফত জানতে পারি ৫টি গাছের টেন্ডার হয়েছে কিন্তু গাছ কাটা হয়েছে ৬টি।’

এলাকাবাসী রাজু মিয়া ও লুৎফর রহমান জানান, গাছ বিক্রির দরপত্র সর্ম্পকে আমরা কিছুই জানি না। তবে ১টি গাছ আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী।

অতিরিক্ত গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল বাশার বলেন, ‘আমি কোন অতিরিক্ত গাছ কাটি নাই। গাছ কেটেছে রাজু, সহকারী শিক্ষক রোকন ও শামছুল হক।’

এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাড়া মেলেনি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মহির উদ্দিন জানান, ‘আমি রেজুলেশনে সই করেছি। কিন্তু কি লেখা ছিল তা পড়ে দেখিনি। গাছ কে বা কারা কেটেছে আমি জানি না।’

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সবুর জানান, বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। কে বা কারা গাছ কেটেছে তার জানা নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জ্যোতিরময় চন্দ্র সরকার জানান, টেন্ডার কে পেয়েছে তা ফাইল দেখে বলতে হবে। তবে বিষয়টি তদন্তের জন্য এটিও আবুল কালামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,ভূরুঙ্গামারী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close