মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা

মন্দির ও শ্মশানের রাস্তা দখল, কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মানবন্ধন

মুক্তাগাছায় পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে কালি মন্দির ও শ্মশানের রাস্তা দখলের অভিযোগে মানববন্ধন।-প্রতিদিনের সংবাদ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় কালিমন্দিরসহ জমি ও শ্মশানের রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের বড়গ্রাম এলাকায় এ মানববন্ধন করেন তারা। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদল উপজেলার বাড়গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার ডেমরা থানায় পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেড় শতাধিক বছরেরপুরাতন কালিমন্দিরটির চার পাশে ইটের দেয়াল উঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে শ্মশান ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটিও বন্ধ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মন্দির দখল করায় আমরা মন্দিরে পূজা অর্চনা করতে পারছে না। পাশাপাশি কেউ মারা গেলে শ্মশানে দাহ করতে মরদেহ নিয়ে অনেক পথ ঘুরে নিয়ে যেতে হয়। মন্দিরের জায়গা ও শ্মশানের রাস্তা উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানায় তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ২ নম্বর বড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহান আলী সরকার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মানিক, মন্দির কমিটির সভাপতি নিতাই বনিক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি নির্মল চন্দ্র সিংহ, বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সাহা, মহ প্রমুখ।

এদিকে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদল জানান, তিনি সাফ কাওলা মুলে জমি কিনেছেন। উপজেলা ভূমি অফিসের লোকজন মাপজোখ করেও এখানে মন্দিরের কোনো জায়গা পায়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির সরাতে তার কাছে ৬ মাস সময় চায়। পরে একটি মহল তাকে হয়রানি করতে অপপ্রচার করছে।

বড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহান আলী সরকার জানান, পুলিশের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদল নিজের প্রভাব খাটিয়ে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা ও পরে মন্দিরের জমি দখল করে চার পাশে ওয়াল উঠিয়ে ফেলেছেন। প্রশাসনে একাধিক অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলেনি।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা,রাস্তা দখল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close