বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বদলির নির্দেশের পরও বহাল তবিয়তে শিক্ষক

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বদলীর নির্দেশ পেয়েও দায়িত্ব পালন করে চলেছেন একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পাবনার বেড়া উপজেলার মাছখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে তার বিরুদ্ধেঘ ২০টি অনিয়মে অভিযোগ এনে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কয়েকজন অভিভাবক।

একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের পিটুনির ভয়ে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। এতে ঝড়ে পড়ছে অনেক শিক্ষর্থীরা। তার অত্যাচারে শিক্ষকরা অতিষ্ঠ বলে জানান তারা।

জানা গেছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় তদন্ত হয়। এতে সব অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া যায়। গত বছরের ৭ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আইয়ুব আলীর বদলীর আদেশ জারি হয়। এমনকি সাময়িকভাবে তার বেতনও স্থগিত হয়।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশ উপেক্ষা একই পদে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী। তার ব্যবহারে শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও অতিষ্ঠ।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমার বদলীর আদেশ হয়েছে, ঘটনা সত্য। তবে আমি অসুস্থ বিধায় মন্ত্রণালয়ের একজন পরিচালকের মৌখিক অনুমতি নিয়ে পূর্বের কর্মস্থলেই কাজ করে যাচ্ছি।’

জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বদলি আদেশ হওয়ার পরও যাচ্ছেন না কেন, বুঝতে পারছি না। তার বেতন ভাতাও বন্ধ আছে। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সরানো হোক।’

বেড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কফিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই প্রধার শিক্ষকের অপরাধ ও বদলী আদেশের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে কেন তাকে এখনও মাছখালী স্কুলে বহাল রাখা হয়েছে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাবনার বেড়া,মাছখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close