ফরিদপুরে ছাদ থেকে পড়ে এক নারী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শহরের ঝিলটুলী মহল্লা এলাকায় ওয়াসিত্ব টাওয়ারে্র ছাদ থেকে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ওই নারী চিকিৎসকের নাম ফিরোজা বেগম (৫৪)। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ফিরোজা প্রথমে শহরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুরের জহুরুল হক চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার পর গত তিন বছর আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর থেকে তিনি বাসায় অবসর জীবন যাপন করতেন।

তার স্বামী নিরঞ্জন কুমার দাস ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ। এই দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরঞ্জন ঢালী ওয়াসিত্ব টাওয়ারের সাত তলায় স্ত্রীকে নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। সকালে স্বামী নিরঞ্জন দাস হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। তার মেয়ে ঘরে পড়াশুনা করছিল। ফিরোজা বেগম দশতলা বিশিষ্ট ওয়াসিত্ব টাওয়ারের ছাদে পায়চারী করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে ফিরোজা বেগম ছাদ থেকে নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে এলাকাবাসী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিরঞ্জন দাস জানান, তার স্ত্রী গত প্রায় আড়াই বছর ধরে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। এ ব্যাপারে তার চিকিৎসাও চলছিল। গতকাল রোববার ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে তাকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বামী নিরঞ্জন দাস বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।