পূজার মিষ্টান্ন
পূজার দিনে মিষ্টান্ন তৈরি হয় বড় যত্নে, বেশ সময় নিয়ে। তৈরি হয় হালুয়া, নাড়ু, বরফি, ফিরনি আরো কত কী। যেন চিনির রাজ্যে, ঘন দুধের আগমন সঙ্গে নারকেলের সতেজতা। যথাযথ উপকরণগুলোর সঙ্গে সঠিক পরিমাণ জেনে রান্না হবে খুব সহজেই। পূজার দিনে মা-বোনদের সময় বাঁচাতে চটজলদি মিষ্টান্ন রান্না নিয়ে থাকছে আজ প্রথম পর্বের আয়োজন। তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া
নারকেলের নাড়ু
উপকরণ : নারকেল বাটা ২টি, গুড় ১ চাক গ্রেট করা ও লবণ ৫ চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি : উপকরণগুলো কড়াইতে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দলা পাকিয়ে না যায়। দলা বেঁধে গেলে হালকা ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর অল্প অল্প হাতে নিয়ে গোলাকৃতি দিলেই নাড়ু তৈরি।
বিঃদ্রঃ এখানে দুধ, চিনির পরিমাপ চায়ের বড় কাপে করা হয়েছে। তাই প্রতিটি পরিমাণ একই কাপ দিয়ে করবেন।
মুগ ডালের ফিরনি
উপকরণ : মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, ১টি নারকেলের অর্ধেক কোরানো (এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, দারুচিনি ২টি দিয়ে ডাল সেদ্ধ করে, নারকেলসহ ব্লেন্ডারে অল্প পানি দিয়ে পিষে নেওয়া), চিনি দেড় কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, লবণ ৩ চিমটি, ঘি ৪ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : ঘি গরম করে, সব উপকরণ একত্রে দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালকা শুকিয়ে ঘন হয়ে এলেই ডালের ফিরনি তৈরি।
সুজি ভাঙা হালুয়া
উপকরণ : সুজি দেড় কাপ, শুকনো নারকেল গুড়ি আধা কাপ, চিনি ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ ও লবণ ৪ চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি : সুজি বাদামি করে ভেজে বাকি সব উপকরণ দিয়ে নাড়ুন, দলা পাকিয়ে এলে জ্বাল বন্ধ করে তেলমাখা পাত্রে দেলে দিন, হাতে চ্যাপ্টা করে বসিয়ে, ঠাণ্ডা হওয়ার অপেক্ষা শেষে মনের মতো করে কাটলেই হালুয়া তৈরি।
চালের বরফি
উপকরণ : আতপ চালের গুঁড়ি ১ কাপ, পানি ৩ কাপ, জাফরান ৩-৪ পাপড়ি, গুঁড়ো দুধ ২ কাপ, চিনি দেড় কাপ, এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ ১টি করে, কিশমিশ, বাদাম, খোরমা আধা কাপ করে, গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ, লবণ ৩ চিমটি ও ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ একত্রে কড়াইয়ে মিশিয়ে নাড়ুন যতক্ষণ না দলা পাকিয়ে যায়, ঘি মাখা পাত্রে চ্যাপ্টা করে বসিয়ে, ঠাণ্ডা করে কাটলেই জাফরানি বরফি তৈরি।
"