এম এ লিতু, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
জামায়াতসহ সরে দাঁড়ালেন ৫ প্রার্থী, নিরুত্তাপ ভোটের মাঠ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতসহ ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও গত ২২ এপ্রিল বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু ও জামায়াত প্রার্থী ওলিয়ার রহমান সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচনের খাতা কলমে টিকে থাকা ৫ প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, জাতীয় শ্রমিকলীগ ঢাকা মহানগরের (উত্তর) সহসভাপতি ইমদাদুল হক সোহাগ ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ১৫ এপ্রিল। প্রতীক পেলেও ভোটযুদ্ধে এখনো সব প্রার্থী অংশ নেয়নি। অপরদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী থাকলেও ইতোমধ্যে দুই প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন ও এক প্রার্থী স্বশরীরে হাজির না থাকায় তার মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়নি। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভিন ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিথী রানি বিশ্বাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, উপজেলায় চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এরই মধ্যে ৫ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় নির্বাচনী ইমেজে ভাটা পড়েছে। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই বর্তমান সাংসদের অনুসারী।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শিবলী নোমানী মোবাইল ফোনে বলেন, আমি গত ৫ বছর মানুষের সেবা করেছি। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে শিবলী নোমানী বলেন, ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যাপারে কারো অভিযোগ নেই।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিচুর রহমান মিঠু মালিতা বলেন, নির্বাচনী প্রচরে নেমে জনগণের সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
কালীগঞ্জ নির্বাচন কর্মকর্তা রশিদুল আলম জানান, সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ থাকবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেব।
সঞ্জয় বিশ্বাস ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে গেলেও কেন প্রত্যাহার হয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে রশিদুল আলম বলেন, তিনি স্বশরীরে উপস্থিত হননি এবং তার স্বাক্ষরও মেলেনি। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়নি।
"