বগুড়া প্রতিনিধি
ধুনটে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট
বগুড়ার ধুনটে নাটাবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। তবে বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসিয়ে ওই ব্যক্তি আর্থিকভাবে লাভবান হলেও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খেলাধুলাসহ শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয় দুটির উত্তর পাশে ৮ শতক জায়গা নাটাবাড়ী হাটের নামে প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। ওই হাটটি ইজারা নিয়েছেন গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, নজরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। কিন্তু তারা হাটের নির্ধারিত জায়গায় হাট না বসিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছেন। প্রতি রোববার ও বৃহিস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় হাটের কেনাবেচা। হাটের দোকানিরা বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ও শ্রেণিকক্ষের সামনে দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে। হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হৈচৈর কারণে এক ঘন্টা আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয় কর্তৃপক্ষের। দ্রুত স্কুলটির মাঠ থেকে হাট অপসারণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ হাটের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা নেয় কিনা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, হাটের জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকলেও ইজারাদার বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খেলাধুলাসহ বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে হাটের ইজারাদার জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে হাটের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও রাস্তার কারণে সেখানে হাট বসানো সম্ভব হয় না। তাই আগে থেকেই বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসছে। এ কারণে বিদ্যালয়ে কিছু অনুদান দেওয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ্ জানান, বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসানোর কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"