নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ মে, ২০২৪

উপকূলে স্কুল বন্ধ, সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপকূলীয় এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, এ কারণে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। এ ছাড়া সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় যাবতীয় কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান। গতকাল রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টানেল সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ থাকবে। দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে তিনি বলেন, আমরা সামরিক ও বেসামরিক সব যানবাহনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সামরিক বাহিনী ও নৌবাহিনীসহ প্রয়োজনীয় সব বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৮ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু আমাদের লক্ষ্য হলো সব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, তবে আশ্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম চালু থাকবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় যাতে আনঅ্যাফেকটেড এলাকার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করতে পারে, সেজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close