বাংলাদেশে ভোটের আগে-পরে বিভিন্ন সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার’ মাধ্যমে এসব ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া বিরোধী দলের ‘হাজার হাজার’ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেও আবার মন্তব্য করেন।

গত বছর ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৭ জানুয়ারির ভোটের দিন ও ভোটের পরও সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ভোটের পরদিন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। ওই বিবৃতিতেও সহিংসতা ও বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখার মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? আপনি এর আগে বিবৃতিতে বলেছিলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

জবাবে মিলার বলেন, আমরা বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় এখনো উদ্বিগ্ন। আমরা অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জেনেছি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ এবং নির্বাচনের সময় এবং আগের মাসগুলোয় সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাই। সহিংসতার ঘটনাগুলোর তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে করার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সহিংস ঘটনারগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত, জড়িতদের জবাবদিহিতায় আনতে এবং সব পক্ষকে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানাই।

"