
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
জানালেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ঢাকার খাল রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের

------
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের দায়িত্ব এত দিন ওয়াসা পালন করেছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর তা চলে যাবে দুই সিটি করপোরেশনের হাতে। পানি নিষ্কাশনের জন্য জনবল, যন্ত্রপাতিসহ সব কিছুই সিটি করপোরেশনের আছে, তাদের সক্ষমতা আছে। দুই মেয়র আন্তরিক এবং জনবান্ধব। তারা এ কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর আধুনিক শহরে ইউটিলিটিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে হয় এবং সময় সময় ক্যাপাসিটির জন্য পরিবর্তনও করতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে মেয়রসহ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। আমরা চেয়েছিলাম ঢাকার খাল আমাদের আওতায় দিয়ে দিতে। আজ সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার চেষ্টা করব।’
দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ৩০ বছরের বেশি সময় ঢাকাবাসী দুর্ভোগে ছিল। আমি আশাবাদী সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় কাজের মাধ্যমে অচিরেই ঢাকাবাসীকে এর সুফল দিতে পারব।’
এ সময় দুই মেয়র এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ‘১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতির একটি সিদ্ধান্ত ছিল ওয়াসাকে দিয়ে দেওয়া। আমরা ২০০৯-১০ সালে দায়িত্বে আসার পর ২০১২ সাল থেকে বলে আসছি এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করার। আজ সেটার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এর আগে সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, নগরবাসীকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আধুনিক শহর উপহার দিতে দুই সিটি মেয়রসহ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। ফলে গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার নেই বললেই চলে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পানি নিষ্কাশন, বর্জ্যসহ অন্য যেসব সমস্যা আছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং মন্ত্রণালয়ের ও দুই সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত মৃত্যুবরণকারী চেয়ারম্যান, মেম্বারদের পরিবার এবং চিকিৎসা গ্রহণকারী সদস্যদের আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অর্থ-সম্পদের পাহাড় না গড়ে মানবসেবা এবং দেশে সুবিচার-সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত হতে হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ২৩ জনকে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন। এর মধ্যে রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান পাঁচজন, ইউপি সদস্য ১৮ জন।
"