টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি রানা জামিনে মুক্ত
টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ও দুই যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
টাঙ্গাইল কারাগারের জেলার আবুল বাশার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে আমানুর রহমান খান রানার জামিননামা কারাগারে এসে পৌঁছায়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সকাল পৌনে ৯টার দিকে বের হয়ে ঢাকায় চলে যান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গত ১ এপ্রিল আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। কিন্তু টাঙ্গাইলের যুবলীগের দুই নেতা হত্যার মামলায় জামিন না হওয়ায় তার মুক্তি মিলছিল না। ওই মামলাতেও রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন সোমবার বহাল রেখে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছানোর পর মুক্তি মিলল আলোচিত এই আসামির।
২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামল করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যার ঘটনায় আমানুর রহমান খান রানার নাম উঠে আসে। পরে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তখনকার সংসদ সদস্য রানা। কিন্তু বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর পর দুই মামলায় জামিনের আবেদন নিয়ে জেলা আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ঘুরতে থাকেন তার আইনজীবীরা।
এ মামলার তদন্ত চলাকালে রানার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনিসুর রহমান রাজা ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট এবং মোহাম্মদ আলী ২৪ আগস্ট গ্রেফতার হন।
এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে রানার অপর ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও টাঙ্গাইল জেলা বণিক সমিতির সভাপতি জাহিদুর রহমান খান কাকন জড়িত বলে মোহাম্মদ আলী আদালতে তার জবানবন্দিতে বলেন।
"