বিনোদন প্রতিবেদক

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

অবিস্মরণীয় মুহূর্তের মুখোমুখি জীবন্ত কিংবদন্তিরা

একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে দেখার জন্য এবং তার সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের কয়েকজন নন্দিত অভিনয়শিল্পী গত সোমবার বিকেলে একত্র হয়েছিলেন। বরেণ্য অভিনেতা, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের আহ্বানে এবং সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগে মাসুদ আলী খানের রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসাতেই এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।

এ আড্ডায় অংশ নিয়েছিলেন দিলারা জামান, আবুল হায়াত, আমিরুল হক চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর ও খায়রুল আলম সবুজ।

বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রাণবন্ত এই আড্ডা চলে। দীর্ঘদিন পর একের সঙ্গে অন্যের দেখা হয়ে সবার মধ্যে দারুণ উচ্ছ্বাস আর আনন্দ বইছিল পুরোটা সময়। বিশেষ করে মাসুদ আলী খানকে কাছে পেয়েই যেন সবার মধ্যে বেশি ভালো লাগা কাজ করছিল। পুরোনো দিনের নানা গল্পে মগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন তারা সবাই। এমন ধরনের আড্ডা তারা আগামীতে নিয়ম করে কয়েক মাস পরপর দিতে চান বলে আবদার রাখেন সবাই। যে কারণে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে এমন আয়োজন করার প্রস্তুতিও চলছে।

গল্প, আড্ডায় একসময় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এ মুহূর্তে একটু গান হলেও ভালো হতো। আয়োজনে উপস্থিত থাকা শিল্পী রাইসা ও তার ছোট বোন প্রতিভা গান গেয়ে শোনান। রাইসার গান শুনে মুগ্ধ হন সবাই। আয়োজনটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে এতে যোগ দেন প্রয়াস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রয়েল ক্যাফের কর্ণধার প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার। তিনি মাসুদ আলী খানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদারের সৌজন্যে এবং গঙগঝ ঈঙখখঊঈঞওঙঘঝ-এর সহযোগিতায় সবার হাতে বিশেষ উপহার তুলে দেওয়া হয়।

এমন আয়োজন প্রসঙ্গে দিলারা জামান বলেন, ‘আমার জীবনের অনন্যসাধারণ একটা মুহূর্ত পার করলাম। আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে গেলাম যে আমরা এই বয়সেও বিচ্ছিন্ন নই। সবার কাছে দোয়া চাই। অবশ্যই ধন্যবাদ নূর ও অভিকে।’ আবুল হায়াত বলেন, ‘আমার কাছে তো মনে হলো যে এটাই একটা বড় উৎসব। এ ধরনের উৎসব জীবনের এই পর্যায়ে এসে ভীষণ প্রয়োজন। বিশেষ ধন্যবাদ নূর এবং অভিকে।’ আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাসুদ ভাইকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘একসঙ্গে হওয়ার ইচ্ছেটা অনেক দিনের। অভির কারণে আমিও এগিয়ে এলাম প্রবল আগ্রহ নিয়ে। আগামীতে মাঝেমধ্যে এমন হবে, আশা রাখছি।’ খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘এই আয়োজনের পুরোটা জুড়ে ভীষণ আন্তরিকতা ছিল এবং আমি চাই এমন আয়োজন নিয়মিত হোক।’ মাসুদ আলী খান বলেন, ‘আমি তোমাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ যে তোমরা সবাই আমাকে দেখতে এসেছো। এই ৯৪ বছর বয়সে আরো বহু দিন বাঁচার সাহস পেলাম। নূর ও অভির কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।’ পুরো আয়েজনটির জন্য মাসুদ আলী খানের স্ত্রী তাহ্মিনা খান সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close