মোহাম্মদ আল-আমিন, কুবি
শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন কুবি উপাচার্যের উদ্যোগ
লাল মাটির সবুজ ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বেষ্টিত ৫০ একরে দেশের ২৬তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে আরো ২০০ একর ভূমি যুক্ত হয়ে মোট ২৫০ একরের ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ‘লিডিং ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর। মৌলিক গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মানেই নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি। একটি দেশ তত উন্নত যত উন্নত ওই দেশের উচ্চশিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষার বিকল্প নাই। তারই ধারাবাহিকতায় কুবি উপাচার্য গবেষণার মানোন্নয়নে গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকে ছ১ ও ছ২ জার্নালে প্রায়োগিক ও মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য তাগিদ দেন। যে গবেষণায় থাকবে কমিউনিটি কানেকশন, সমাজভিত্তিক সমস্যার সমাধান। ইতোমধ্যে গবেষণা খাতে উন্নয়নের ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব-র?্যাংকিং এ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে ২০২১ সালে বিশ্বসেরা গবেষকরের তালিকায় ৫ জন ছিলেন। সেখানে ২০২৩ সালে ৯০ জনে নিয়ে আসেন। শিক্ষকদের গবেষণায় আরো মনোযোগী করার জন্য সেরা গবেষকদের জন্য ‘ভাইস-চ্যান্সেলর রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনায় প্রেষণা যোগাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ‘ভাইস-চ্যান্সেলর স্কলারশিপ’ প্রদান করেন ২০২২ সাল থেকে।
তাছাড়া শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহী করতে ‘স্পোর্টস স্কলারশিপ’ চালু করেন এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। ফলে (এপিএ) বা বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ১০তম।
জাতীয় শুদ্ধাচার নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করেন। অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশ এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দান পদ্ধতি চালু করেন। ডি-নথি কার্যক্রমও চলমান। ফলে দ্রুত জবাবদিহিতা এবং কর্মসম্পাদন নিশ্চিত হবে। আবাসিক হলকে মাদকমুক্ত করা এবং র্যাগিং এর বিরুদ্ধে জিরো- টলারেন্স ঘোষণা করেন। ভালো চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে মেডিকেলে আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করেন। ফলস্বরূপ গুচ্ছ পরীক্ষায় পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে।
উপাচার্য আব্দুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে-সব বিষয় মনোনিবেশ করতে হয় আমি সেই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিচ্ছি। এগিয়ে যাবে সবসময়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
"