বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনো সমাজে ও রাষ্ট্রের গভীরে অবস্থান করছে। এরা এখনো অবস্থান করছে বলেই জুনায়েদকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পেরেছে। একইভাবে গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের দিদারকে তারা দিনে-দুপুরে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আর এসব খুনের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুদায়িত্ব পালনে যদি কোনো শ্লথগতি থাকে ও ঢিলেঢালা ভাব থাকে, তাহলে আমরা যে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার কথা বলছি, একটি পৃথিবী কাঁপানো বিপ্লবের কথা বলছি, ৫ আগস্ট তার অন্তর্নিহিত চেতনা, তার মূলমন্ত্র সেটি ব্যাহত হবে। চেতনাকে অবমূল্যায়ন করা হবে। এ সময় তিনি জুনায়েদের বাবা জসিম উদ্দিনকে সমবেদনা জানান। বিএনপি নিহতের পরিবারের পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। জুনায়েদের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিতে বিএনপি কাজ করবে বলেও তিনি জানান।

পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে জুনায়েদের বাবাকে আর্থিক সহায়তা করেছি।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়কসহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মঞ্জুর এলাহী, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মনসহ জেলা, থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার বটিয়ারা মোড়ে জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে কয়েকজন। ছুরিকাঘাতে আহত জুনায়েদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে আইসিইউর কোনো শয্যা খালি না থাকায় তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির প্রস্তুতিকালে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর জুনায়েদের চাচা মো. শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন, পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।

"