দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

হাড়কাঁপানো শীতেও ধান চাষে ব্যস্ত চাষি

মাঘ মাসের শুরুতেই কনকনে শীত। সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহ। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে কমে গেছে জনসমাগম। কিন্তু এ অবস্থায় বসে নেই চাষিরা। তারা উত্তরের হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতের মধ্যেও ঠাণ্ডা কাদা-পানির জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

স্থানীয় কিষান-কৃষানিরা ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠজুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা খেতে সেচ দিচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী এলাকায় এমনটাই দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রিড এবং উচ্চফলনশীল উপশী ধান আবাদে আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের খেত তৈরি করে চারা রোপণ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কীটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সবসময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এ এলাকায় গত আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই এবার খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি, এবারেও বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস বলেন, এবার শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতেও বীজতলার তেমন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি-বোরো চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close