দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় ৭ জানুয়ারি রবিবার। ভোট শেষ হওয়ার চার দিন পার হলেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনো সরেনি নির্বাচনী পোস্টার ও ব্যানার। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ভোটের পরদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ব্যানার ও পোস্টার অপসারণের ঘোষণা দিলেও শহরের মূল সড়কগুলো বাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ও পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাজধানীর পান্থপথ, বাংলামোটর, কাঁঠালবাগান, বংশাল, লালবাগ, খিলগাঁও , বাসাবো, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের অনেক এলাকাতেই এখনও ঝুলছে নির্বাচনের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন? অধিকাংশ এলাকাতেই এখনও নির্বাচনি প্রচারের জন্য গড়ে তোলা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোও রয়ে গেছে। কিছু জায়গায় পোস্টার ও ব্যানার সরলেও খালি দড়ি রাস্তার ওপর ঝুলে থাকতে দেখা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্রে জানা গেছে নির্বাচনের পরদিন সন্ধ্যা থেকে ডিএসসিসির দুই হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনি প্রচারণা সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছেন। এক দিনের মধ্যে অপসারণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়ে ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কার্যক্রম শুরু করলেও এখনও বিভিন্ন এলাকার অলি গলিতে ব্যানার পোস্টার দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন আমি ইতোমধ্যে রিপোর্ট পেয়েছি সব অপসারণ করা হয়েছে। এর বাইরে দেওয়ালে সাঁটানো কিছু পোস্টার এবং অলি গলিতে কিছু পোস্টার ব্যানার থাকতে পারে। সেগুলো অপসারণের কাজ চলছে। অপসারণ কার্যক্রম শুরু করার পর গত চার দিনে অধিকাংশ এলাকাতেই অপসারণ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকি কাজগুলোও দ্রুত শেষ হবে বলে জানিয়েছে তারা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এখনও কিছু নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী অপসারণের কাজ বাকি আছে। তবে তা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ করা হবে।

মকবুল হোসাইন বলেন, আমরা গুরুত্ব বিবেচনায় প্রথমে মূল সড়কে দৃশ্যমান পোস্টার-ব্যানারগুলো অপসারণ করেছি। এর বাইরে অলিগলিতে কিছু ব্যানার পোস্টার এখনও রয়েছে যেগুলোর অপসারণ কাজ শেষ হওয়ার পথে।এ ছাড়া যেসব এলাকায় এসব ব্যানার পোস্টার রয়েছে সেসব এলাকার বাসিন্দারা করপোরেশনের হট লাইনে যোগাযোগ করলেই আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তা সরিয়ে নিচ্ছেন।

"