reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ মার্চ, ২০২৪

আপনিও ভুতুরে চাকরির শিকার হচ্ছেন না তো

‘ঘোস্ট জব’ বা ‘ভুতুরে চাকরি’ সম্পর্কে বর্তমানে অনেকেই জানেন। তবে যারা জানেন না তারা শিরোনাম দেখে অনেকেই কৌতুহলী হবেন। ‘ঘোস্ট জব’ বা ‘ভুতুরে চাকরি’ হলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা চাকরিপ্রার্থীদের ডাকেন এবং সাক্ষাৎকার নেন, কিন্তু নিয়োগ দেন না। এই পক্রিয়াকে ‘ঘোস্ট জব’ বলা হয়।

বিশ্বের দেশে দেশে বেড়েছে ঘোস্ট জবের প্রবণতা। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে এ প্রবণতা বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মানবসম্পদ বিভাগের কিছু কর্মীই রাখেন এজন্য। যারা চাকরিপ্রার্থীদের ডাকেন এবং সাক্ষাৎকার নেন, কিন্তু নিয়োগ দেন না। সম্প্রতি এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

কোম্পানিগুলোর এ প্রবণতা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু কোম্পানিগুলো কেন এমনটি করছে? এর একটি উত্তর হলো, নিজেদের কাছে মেধাবী কর্মীদের একটি ভাণ্ডার তৈরি করা, যাতে দরকার হলে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ দেওয়া যায়। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, কোম্পানির পরিচিতি বাড়ানো। কারণ একটি কোম্পানি যখন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়, তা হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এতে করে কোম্পানিটি সম্পর্কে নতুন অনেকে জানতে পারে।

একটি কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করতেন মৌরিন ডব্লিউ ক্লাউ নামের এক নারী। তিনি সম্প্রতি ঘোস্ট জব সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। একটি কোম্পানিতে এমন চর্চা হওয়ায় তিনি সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করে মৌরিন লেখেন, এটি একটি ভয়ঙ্কার প্রবণতা। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটি বেশ চলছে।

চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মৌরিন লেখেন, ‘এটি শুধু আমার সময় নষ্ট করছে তা নয়, বরং তা চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্যও ভয়াবহ।’

মৌরিন ডব্লিউ ক্লাউয়ের পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি নতুন কিছু নয়। অন্তত তিন দশক ধরে আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানি।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটি চাকরিপ্রত্যাশীদের মন ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘আমার জানা মতে প্রায় সব খাতেই এ প্রবণতা চলেছে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close