নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাজ্যের ইউরো-এশিয়া কারী অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ওয়েলসের আবুলস স্পাইস

যুক্তরাজ্যের ইউরো-এশিয়া কারী অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ জিতেছে ওয়েলসের বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট আবুলস স্পাইস (Abul’s Spice)। পাশাপাশি বর্ষসেরা শেফ-এর খেতাব জিতেছেন আবুলস স্পাইসের কর্ণধার ও বিবিসি ওয়েলস ২০১৫ চ্যাম্পিয়ন শেফ আবুল হোসেন।

সম্প্রতি লন্ডনের মে-ফেয়ারে জমকালো এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় রন্ধনশৈলীর সেরা বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট হিসেবে আবুল স্পাইস ও শেফ হিসেবে আবুল হোসেন এই মর্যাদাপূর্ণ খেতাব অর্জন করেন। ইউরো-এশিয়া ২০২৩ কারী অ্যাওয়ার্ডে পুরো যুক্তরাজ্যের নানা সিটি থেকে বাংলাদেশি মালিকানাধীন পাঁচ শতাধিক রেস্টুরেন্ট নানা ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পায়। সেখান থেকে বিচারকরা জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ৫০ রেস্টুরেন্ট ও শেফকে বিভিন্ন সেরা নির্বাচিত করেন।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ভারতীয় রন্ধনশৈলীর মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রায় ১৫ হাজার ছোট-বড় রেস্টুরেন্ট। প্রতিনিয়ত নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে উপাদেয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনে ক্রেতাদের মন জয় করে যাচ্ছে এইসব প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর নেপথ্য কারিগররা যুক্তরাজ্যে কারীশিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। কারী ব্যবসা ও নেপথ্যের পরিশ্রমী এবং প্রতিভাবান কারীশিল্পীদের স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশি খ্যাতনামা শেফ শরিফ খান এই অ্যাওয়ার্ডের প্রচলন করেন। বিগত সাত বছর ধরে সফল ব্যবসা ও কৃতি কারীশিল্পীদের এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে শরিফ খান বলেন, করোনা মহামারির পর ব্যবসায়ীরা একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে পরিচালনা করছেন। প্রতিকূলতার ভেতরেও ঘুরে দাঁড়িয়ে এই ব্যবসায় চমৎকার ভূমিকা রেখে যাচ্ছে কিছু রেস্তোরাঁ ও টেকওয়ে। এসবের নেপথ্যে শিল্পীদের উৎসাহিত ও সম্মানিত করতে এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন।

ওয়েলসের জাতীয় বীর ওয়াইন গ্লিনডরের (Owain Glyndwr) স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক শহর করউইনে (Corwen) দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে আবুলস স্পাইস। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে “ওয়ালশ কারি হাউস অব দ্য ইয়ার ফিউচার অন বিবিসি ওয়েলস সিরিজ কল কারি ওয়ার” ও ২০১৬ সালে “ফুড অ্যাওয়ার্ড ইন ওয়েলস বেস্ট এস্টাবলিস্টমেন্ট” জয় করে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আবুল হোসেন ফুড লাভারদের জন্য বিবিসি ওয়েলসের ক্যাম্পেইনে বারবিকিউর বদলে বিচারকদের সামনে কারি বানিয়ে উপস্থাপনের মাধ্যমে ভূয়সি প্রশংসা ও সেলেব্রিটি শেফ খ্যাতি অর্জন করেন। তার এই অনবদ্য অর্জনের কারণে করউইনের অধিবাসীরা তাকে শহরের তিনজন এমিনেন্ট পিপলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান দেন। বার্মিংহামের ওয়ালসালে আবুল হোসেনের মালিকানাধীন লালহাভেলী রেস্টুরেন্ট ও ব্যাংকুইটিং হল ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের ফুড লাভারদের জন্য প্রথমবারের মতো দেশি তাওয়া মেন্যুর প্রচলন করে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি পরিণত হয়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রাণকেন্দ্রে। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক রায়সন্তোষপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আবুল হোসেন ব্যবসার পাশাপাশি পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিসহ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের নানা সামাজিক-দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা এবং স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আবুলস স্পাইস,ইউরো-এশিয়া কারী অ্যাওয়ার্ড,Abul’s Spice
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close