এম এ মাসুদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সুন্দরগঞ্জে দিনদুপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
![](/assets/news_photos/2024/06/10/image-461600.jpg)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দিনদুপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা নিয়ে গেছে স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ ও নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার পণ্য। শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ ঘটিকার মধ্যে পৌরশহরের ১নং ওয়ার্ডের বালাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আবু মাসুদ মিয়ার (এম এ মাসুদ) ২ ছেলে পড়াশোনার জন্য রংপুরে থাকেন। ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট ছেলের রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে অভিভাবক সমাবেশ থাকায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে তার স্ত্রী রংপুর চলে যান এবং সকাল ১০টার দিকে নিজ কর্মস্থলে যান এম এ মাসুদ।
পরে বেলা ২টার দিকে বাসায় ফিরে দেখতে পান বারান্দার গ্রিলের দরজা খোলা এবং কেউ ঘরে প্রবেশ করেছিল —এমন চিহ্ন। ঘরের দরজায় দাঁড়াতেই চোখে পড়ে ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র বিছানায় ও মেঝেতে সব ছড়ানো-ছিটানো পড়ে আছে। ড্রয়ারগুলো ভাঙা। ফাঁকা পড়ে রয়েছে গহনা রাখার দুই-তিনটি বাক্স। চোরেরা নিয়ে গেছে স্ত্রীর তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মানি রিসিভ। সংবাদ লিখনির কাজে ব্যবহৃত ডেল কোর আই-৮ নামের একটি ল্যাপটপ ও সিঙ্গারের দেওয়া মানি রিসিভ, সন্তানদের পড়াশোনার খরচের জন্য ড্রয়ারে রাখা নগদ লাখ খানেক টাকা এবং মগে রাখা নিজ নামে তোলা অব্যবহৃত কয়েকটি সিমকার্ডও নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর রাতে চুরির ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
এম এ মাসুদ বলেন, দিনদুপুরে আমার বাসায় তালা ভেঙে চুরি করেছে চোরেরা। ল্যাপটপ, বউ-এর অলংকার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছে তারা। রোববার সকালে আবার খুঁজে দেখি আমার নামে তোলা কয়েকটি অব্যবহৃত সিম কার্ড যা মগের মধ্যে ছিল খুঁটে খুঁটে তাও নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। এটাকে তো চুরি বলা যায় না। এটা রীতিমতো ডাকাতির পর্যায়ে পড়ে। আমি মর্মাহত এই কারণে যে, গত চার যুগেও দিনে তো বটেই এমনকি রাতেও এমন ঘটনা আমার পাড়ায় ঘটেনি। যখন ঘটলো তখন আমার বাড়িতেই ঘটলো। অথচ কারও সাথেই আমার কোনো শত্রুতা বা বিরোধ আছে বলে আমি মনে করি না। সব সময়ই স্বচ্ছতার সাথে চলার চেষ্টা করি এবং সেটাই আমার সারাজীবনের ব্রত। তবে যারাই করুক বা করিয়ে নিক না কেন তারা আমার প্রতি জুলুম করলো। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
সাংবাদিকের বাড়িতে চুরির ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।