চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
চরফ্যাশনে অভিযোগ
মসজিদে তালা সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলের, রাস্তায় নামাজ আদায়
![](/assets/news_photos/2024/06/07/image-461163.jpg)
ভোলার চরফ্যাশনে জমির অতিরিক্ত টাকার দাবিতে ইমাম ও মুসল্লীদের মারধর করে মসজিদে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ছেলে জিয়াউদ্দিন সোহাগের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৭ জুন) মসজিদে ঢুকতে না পেরে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বাইতুস সালাম জামে মসজিদের পাশে এমন চিত্র দেখা যায়।
এর আগে সোমবার (৩ জুন) এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। জিয়াউদ্দিন সোহাগ আসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমেদের ছেলে।
জানা যায়, ৩ বছর আগে সোহাগের কাছ থেকে বাইতুস সালাম জামে মসজিদ স্থাপনের জন্য ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। বায়না চুক্তি অনুযায়ী মুসল্লিরা মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে সব টাকা পরিশোধ করলেও এখন জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানায় সোহাগ। তার দাবি ৩ বছর পূর্বের চুক্তিপত্র বাতিল করে বর্তমান মূল্যে তাকে জমির দাম পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে জমির দলিল দেওয়া হবে না এবং মসজিদে কেউ নামাজ আদায় করতে পারবে না। পরে গত ৩ জুন জোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে ইমাম ও মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদে তালা দেন সোহাগ।
- আগের চুক্তিপত্র বাতিল করে বর্তমান মূল্যে জমির দাম পরিশোধের দাবি
- ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ
- তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যানের
মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘সোহাগ মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছে।’
আসলামপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ইয়াছিন সেলিম মসজিদে তালা দেওয়া ও মুসলিমদের মারধরের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ছাড়া তার পক্ষে সোহাগের বিচার করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
আসলামপুর ২নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হাসেম হাওলাদার বলেন, সোহাগের হুমকি ও মারধরের ভয়ে মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ আছে। তাই মুসল্লিদের সিদ্ধান্তে তারা জুমার নামাজ রাস্তায় আদায় করেন বলে জানান তিনি।
জানতে চা্ইলে জিয়াউদ্দিন সোহাগ বলেন, ‘আমার পাওনা টাকা দিয়ে নামাজ পড়তে বলেছি। মসজিদে তালা দিলেও পরে আমি চাবি নিতে সভাপতির কাছে ফোন করেছি। তবে কেউ চাবি নিতে আসেননি।’
আসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সোহাগের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পিডিএস/আরডি