নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ০৬ জুন, ২০২৪

নোয়াখালী সদর

বাবার মৃত্যুর আধাঘন্টা পর মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার মৃত্যুর আধঘন্টা পর মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে, বুধবার (৫ জুন) সকালে সাড়ে ৮টার দিকে জেলা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়ত। পড়ালেখা অবস্থায় সেখানে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। সে যেন তার স্বামীর সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল।

পরে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবার কাছে টাকার জন্য গেলে দেখে তার বাবার মরদেহের আশে পাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসেন। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে সবার অগোচরে আলাদা একটা কক্ষ গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। এক পর্যায় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, তিশা ফেনী মেডিকেলে পড়ত। সে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা ভালোভাবে নেননি। এজন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন।

ওসি রনি আরো জানান, এরপর মেয়েকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। মেয়ে নাছোড় বান্দা। এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে বাবা স্ট্রোক করে মারা যান। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যুর আধাঘন্টা পর মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে মরদেহ উদ্ধার বিকেল ৪টার দিকে বাবা ও মেয়ের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নোয়াখালী,ঝুলন্ত মরদেহ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close