ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, চিরকুট দেখে আটক ২
ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অপর প্রবাসী ছেলের বউকেও গুরুতর আহত করে তারা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ মে) দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ফাতেমা বেগম (৪৫) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের খালকোলা গ্রামের প্রবাসী আবেদ আলীর স্ত্রী। আহত বিথি খাতুন (১৮) আবেদ আলীর ছেলে প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী। আটক ব্যক্তিরা হলেন-সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের সুশান্ত সরকার।
প্রতিবেশী ওবাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ফজরের নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে দেখেন একটা মহিলা উঠানে গড়াগড়ি করছে। তার পরিবারের লোকজন ভয় পেয়ে ঘরে ঢুকে গেলে তিনি দেখতে পান মেহেদীর স্ত্রী। পরে ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ফাতেমার গলাকাটা লাশ ঘরের মধ্যে পড়ে আছে। তখন দ্রুত লোকজন ডেকে এবং পাশেই বেতাই পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন তিনি।
এদিকে বিথীর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করে চিকিৎসক। এ অবস্থায় বিথির হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে দুই জনের নাম উল্লেখ থাকায় তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, প্রবাসী আবেদ আলী ১৫ বছর যাবৎ দুবাই থাকেন এবং তার ছেলে মেহেদী দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় গেছে। এরপর থেকে আবেদ আলীর স্ত্রী ও পুত্রবধূ গ্রামের ওই বাড়িতে থাকে। কিছুদিন যাবৎ ওই বাড়িতে মিস্ত্রিরা নির্মাণের কাজ করছে। মিস্ত্রীদের টাকাসহ বড় অংকের টাকা বিদেশ থেকে আসবে জানতে পারে মিস্ত্রিরা। সেই তথ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ির বারান্দার দেয়াল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে। পরে দুর্বৃত্তদের উপিস্থিতি টের পাওয়ায় আবেদ আলীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে ও পুত্রবধূকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুত্রবধূ বিথির হাতে লেখা চিরকুটটি উদ্ধার করে তার সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরো ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।
পিডিএস/আরডি