মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৪

মনোহরদীতে অভিযোগ

বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধ বাড়ি থেকে উদ্ধার করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

উদ্ধার করা কমিউনিটি ক্লিনিকের বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধের কার্টুন। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নরসিংদীর মনোহরদীতে একটি বাড়ি থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিপুল পরিমাণ বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্যালাইন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট।

বুধবার (২২ মে) বিকেলের দিকে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের ডোমনমারা গ্রামের ক্লিনিক সংলগ্ন মোস্তফার বাড়ি থেকে এসব ওষুধ উদ্ধার করেন ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার রশিদ বিপ্লব।

জানা যায়, উপজেলার ডোমনমারা ক্লিনিকের দায়িতপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রোজি আক্তার এবং স্বাস্থ্য সহকারী জেসমিন আক্তার মুক্তা ক্লিনিকের ওষুধ মজুত করে তা বাইরে বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে দুজন মিলে এসব বিনামূল্যের ওষুধ জনসাধারণের কাছে বিতরণ না করে বিক্রি করে আসছেন। ওই ওষুধগুলোও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার উদ্দেশ্য ওই বাড়িতে রেখেছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।


  • ক্লিনিকের সিএইচসিপি ও স্বাস্থ্য সহকারী অভিযোগ অস্বীকার করেন
  • সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

সিএইচসিপি রোজি আক্তার বলেন, ‘ওষুধগুলো বিক্রির জন্য সেখানে রাখা হয়নি। বৃষ্টির দিন গাড়ির চালক হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনে ওই বাড়িতে রেখেছেন। সময় না পাওয়ায় সেগুলো ক্লিনিকে আনা হয়নি।’

ওষুধ জব্দ হওয়া ওই বাড়ির মালিক মোস্তফার স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাড়িতে সরকারি ওষুধ রাখতে নিষেধ করি। তারপরও রোজি আক্তার প্রায়ই আমার ঘরে ওষুধ রাখেন। এই ওষুধগুলো ১৫দিন আগে রেখেছিলেন।’

স্বাস্থ্য সহকারী জেসমিন আক্তার মুক্তা বলেন, ‘ওই বাড়িতে ওষুধ রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। তা ছাড়া ওষুধ বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত নই।’

খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার রশিদ বিপ্লব বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে ইউপি কার্যালয়ে এসব ওষুধ রাখা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগের সেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবেন।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নরসিংদী,মনোহরদী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close