পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের দুপাশে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। তবে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে এগুলো উচ্ছেদ ও উদ্ধার করতে সময় লাগছে বলে কলাপাড়া পাউবো কর্তৃপক্ষ জানান।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের দুপাশেই একাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের অনেকেরই দালিলিক কোন কাগজপত্র নেই। এছাড়া পজিশন কেনা-বেচার ঘটনাও রয়েছে। অনেক বছর ধরে এভাবেই পাউবোর জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। ক্ষেত্র বিশেষে উচ্ছেদ অভিযান হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের কারণে মাঝপথেই তা বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা যায়।

• স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় জায়গা দখল
• অর্থ লেনদেনের কারণে মাঝপথেই অভিযান বন্ধ
• জনবল সংকটসহ নানা জটিলতায় উচ্ছেদ অভিযান ও উদ্ধারে সময় লাগছে
• দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানান পাউবো কর্মকর্তা

জানা যায়, ১৯৬৭ সালে এলএ মামলার মাধ্যমে পাউবোর নামে মহাসড়কের জন্য ভূূমি অধিগ্রহন করা হয়। পরে খতিয়ানে বিএস রেকর্ডভূক্ত হয়। কিন্তু অজানা কারণে তা এখনও অবৈধভাবে দখলেই রয়েছে।

স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী কেরামত খাঁন বলেন, ওই জমির এসএ রেকর্ড তাদের নামে রয়েছে। পাউবোর নামে বিএস রেকর্ড হওয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

ব্যবসায়ী ইব্রাহীম তালুকদার জানান, পজিশন ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছেন। অনেকেই স্থায়ী ভবন নির্মাণ করায় তিনিও করেছেন। তবে সরকার চাইলে জায়গা ছেড়ে দিবেন বলে জানান তিনি।

কলাপাড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তাকে (ডিসি) অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।

পিডিএস/আরডি