আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২৪

বরগুনার আমতলী 

বৃষ্টি হলেও ঘর ভেসে যায় বৃদ্ধা ইন্দ্রমনির

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বরগুনার আমতলীর সত্তর বছরের বৃদ্ধা ইন্দ্রমনি। উপজেলার গুচ্ছ গ্রামে প্রায় দশ বছর ধরে অন্যের দেওয়া জমিতে টিনের ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন তিনি। কখনো ঝিয়ের কাজ, কখনো দিনমজুরের কাজ করে চলে স্বামী-সন্তান হারা ইন্দ্রমনির সংসার।

জানা গেছে, ইন্দ্রমনি বয়সের ভারে কাজেও যেতে পারেন না। সামান্য বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানি ঝরে পড়ে। ঘরের ভিতরের সবকিছু ভিজে যায়। বৃষ্টির সময়ে তার জীবন চলে অন্যের বাড়িতে।

কাদাপানিতে ঘরের ভিতর চলাফেরা করতে ঝামেলা পোহাতেও হয় তাকে। ঘরের চারপাশে বৃষ্টির পানি বেড়ার ফাঁক দিয়ে আসে। একটু ঝড় এলেই ঘরের উপরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায়। একটি ঘরের জন্য বার বার ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যনের দ্বারে ঘুরেছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। বর্তমানে অসহায় জীবনযাপন করছেন এই নারী।

বৃদ্ধা ইন্দ্রমনি বলেন, জীবনের শেষে এসেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাকে যেন একটা ঘর দেয়। মৃত্যুর আগে হলেও যেন সেই ঘরে থেকে যেতে পারি।

গুলিশাখালি ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ইন্দ্রমনি ঘর পাওয়ার যোগ্য হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্পের আওতায় তাকে ঘর দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।

আমতলী ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, ‘ক’ তালিকার কাজ চলমান। এ তালিকায় যাদের জমি নেই তারা আছেন। ওই তালিকার কাজ শেষ হলেই ‘খ’ তালিকার কাজ শুরু করবে সরকার। এ তালিকায় তারা থাকবে যাদের ২ শতাংশ বা তার থেকে বেশি জমি আছে তাদের সরকার ঘর করে দেবে। ইন্দ্রমনি আবেদন করলে ঘর দেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বরগুনার আমতলী,বৃদ্ধা ইন্দ্রমনি,গুচ্ছ গ্রাম,আমতলী ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আলম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close