বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
বেড়ায় লড়ছেন ডেপুটি স্পিকারের ভাই-ভাতিজা, দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনার বেড়া উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এমপি ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন ও ভাতিজা আব্দুল কাদের সবুজ।
জানা যায়, আব্দুল বাতেন বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং আব্দুল কাদের সবুজ সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
সংসদ সদস্যদের নিকটাত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা থাকলেও গত ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি বলে জানা গেছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরেছেন ডেপুটি স্পিকারের ভাই ও ভাতিজা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আব্দুল বাতেন বেড়া পৌরসভার ২৩ বছর মেয়র ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে বড় ভাই শামসুল হক টুকুর সঙ্গে আব্দুল বাতেনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। গত পৌর নির্বাচনে আব্দুল বাতেনকে সরিয়ে শামসুল হক টুকুর বড় ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আব্দুল বাতেন ভাতিজার বিরুদ্ধে নির্বাচনে হেরে যান। ঐ নির্বাচনে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেন তিনি।
- উপজেলা নির্বাচনে কাউকেই সমর্থন দেননি ডেপুটি স্পিকার
- গত ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা তা প্রত্যাহার করেননি
- আব্দুল বাতেন বেড়া পৌরসভার ২৩ বছর মেয়র ছিলেন
পরবর্তীতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আব্দুল বাতেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী টুকুর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, বেড়া উপজেলার রাজনীতিতে শামসুল হক টুকুই আমার পরিচয়ে পরিচিত। কারণ তিনি এমপি হবার অনেক আগেই আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম। তার আগেই আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি। কাজেই এই নির্দেশনা আমার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেই মনে করি। প্রশাসন এমপির প্রভাবমুক্ত থাকলে জনগণ আমাকেই বিজয়ী করবে।
আব্দুল কাদের সবুজ বলেন, আমার মনে হয় এমপির স্বজনদের প্রার্থী না হতে যে নির্দেশনা সেটি যারা মন্ত্রী, এমপির পরিচয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চান তাদের জন্য। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। বেড়ার রাজনীতিতে আমি বিএনপি জামায়াতের জেল, জুলুম সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। দল ও দলের কর্মীরা আমাকে প্রার্থী করেছে। এ নির্বাচনে প্রতীকও নেই কাজেই আমি নির্বাচনে থাকছি।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কাউকে সমর্থন দেইনি। কাউকে প্রার্থী হতে বা সরে দাঁড়াতেও বলিনি। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই চেয়ারম্যান হবে।
পিডিএস/জেডকে