চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক তরুণ উদ্যোক্তাকে মারধর করে জখমের পর আবারও প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নিজের পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে এসব অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন গোমস্তাপুর উপজেলার চাইপাড়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ও মধু ব্যবসায়ী ফেরদৌস উল আলম।

ফেরদৌস উল আলম বলেন, গত ১৫ মার্চ চাইপাড়া জামে মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম চালুর বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে মসজিদের বাইরে এসে মারধর করে মুরগি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেয়। পরদিন জাহাঙ্গীর আলম তার ছেলে ফারুক ও লোকজন নিয়ে এসে সন্ধ্যার দিকে ফাঁকা মাঠে একা পেয়ে গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

মধু ব্যবসায়ী ফেরদৌস উল আলম আরো বলেন, স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসকরা জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসলেও এখনও হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমার পুরো পরিবার। থানায় অভিযোগ দিলেও উল্টো পুলিশ দিয়ে আমাদেরই হয়রানি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের উপর জাহাঙ্গীর আলমের উপর নানারকম জুলুম নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তরুণ উদ্যোক্তা ফেরদৌস উল আলম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী মো. জেম, রেবিনা বেগম। এ নিয়ে কথা বলতে মুরগি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পিডিএস/জেডকে