কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাথাগোঁজার ঠাঁই চান হায়াতন নেছা
![](/assets/news_photos/2024/03/31/image-449740.jpg)
বয়সের ভারে হায়াতন নেছার (৫৫) শরীরে বেঁধেছে বিভিন্ন রোগের বাসা। আহার যোগাতে মানুষের বাড়িতে করতেও পারছেন না কাজ। নেই কোন জায়গা জমি। অন্যের জায়গায় বাঁশের চাটির উপর ছেড়া লুঙ্গি, প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে কোনোরকম বসবাস করছেন। তাই মাথাগোজার একটু ঠাই চাইলেন মাদারীপুরের ডাসারের বাসিন্দা হতদরিদ্র ও স্বামীপরিত্যক্তা বৃদ্ধা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের থেকে সহযোগিতার করা হবে অশ্বাস দিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের বৃদ্ধা হায়াতন নেছা দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের চাটাই, ছেঁড়া লুঙ্গি আর পলিথিন দিয়ে অন্যের জায়গায় ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। দেখার মতো নেই কোন সন্তানাদি। বয়সের ভারে শরীরে বেঁধেছে বিভিন্ন রোগের বাসা। ঘরে নেই কোন খাবার। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের থেকেও পাননি কোন সহযোগিতা। তিনি পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত্যু আরশেদ আলী বেপারী মেয়ে।
হায়াতন নেছা কান্না করে জানায়, তার কেউ নেই। ১৯৮৮ সালে স্বামী তালাক দিয়ে চলে গেলে, জীবনের ভরনপোষণ চালাতে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করি। করোনার সময় চাকরি চলে যায়। বয়স হয়েছে, শরীরে রোগও হয়েছে, কোন কাজও করতে পারে না। এভাবেই ৪-৫ বছর ধরে থাকছেন। বৃষ্টি আসলে ভিজে যায় সব। চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে অনেকবার গেলেও সহায়তা পাননি। তাই তিনি একটু মাথাগোঁজার ঠাই চান।
কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেন, আমার কাছে কেউ বলেনি, তাকে সহযোগিতা করতে হবে। খুবই তাড়াতাড়ি একটি চাউলের কার্ড করে দিব।
ডাসার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ আফরোজ বলেন, হায়াতন নেছার সম্পর্কে আমাকে কেউ কোন তথ্য দেয়নি। আপনাদের কাজ থেকে জানলাম। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
পিডিএস/এস