শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ০৩ মার্চ, ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুর 

১৯ বছরে খালের দুপাশে সড়ক হলেও হয়নি সেতু, ভোগান্তি 

কর্ণপুর, পটকা দুই গ্রামের দুপাশে সড়ক মাঝখানে সেড়ার খাল। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

গাজীপুরের শ্রীপুরে সেড়ার খালের ওপর সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ খালের দুপাশে দেড় কোটি টাকায় সড়ক নির্মাণ করেও সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নে কর্নপুর থেকে বাউনি বাজার পর্যন্ত আড়াই কিমি সড়ক প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ করা হয়। তানভীর এন্টারপ্রাইজ সরাফত এন্টারপ্রাইজ ও রবিউল এন্টারপ্রাইজ নামে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি নির্মাণ করে। ২০০২-৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে তিন ধাপে সড়কের নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু সেড়ার খালের ওপর একটি সেতু না হওয়ায় সড়কটি কাজে আসছে না বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।


  • প্রায় ৮ বছর আগে দেড় কোটি টাকায় সড়ক নির্মাণ
  • সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে বলে জানান উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা

হেরা পটকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফজলুল হক জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চারটি গ্রামের হাজারো বাসিন্দা চলাচল করে। খালের দুই পাড়ে দুটি স্কুল ও তিনটি মাদরাসা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে খালের ওপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা হেঁটে পার হলেও বর্ষাকালে খালে পানি থাকে তখন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এ ছাড়া হাট বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারে না স্থানীয় বাসিন্দারা। একই এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আলম জানান, সড়ক হলেও সেতু না থাকায় সড়কে মানুষের যাতায়াত বা যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সড়কের ওপরে ঘাস ও লতাপাতায় ভরে গেছে।

একই ধরনের ভোগান্তির কথা বলেন সাবেক সেনা সদস্য কেরামত আলী। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক সড়কের আড়াই কিমি সড়কের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮ বছর আগে। কিন্তু সেতু না থাকায় এই সড়কটি জনসাধারণের কোন কাজে আসেনি।’

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবদুস ছামাদ পত্তনদার জানান, এখানে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রশস্থ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। এর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর জন্য আগামী অর্থবছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গাজীপুর,শ্রীপুর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close