![reporter](/templates/web-ps/images/rp_icon.png)
ইতালির বদলে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে কাউসার আর তার স্ত্রী-সন্তান
![](/assets/news_photos/2024/03/01/image-444629.jpg)
আর ৮ দিন পরই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইতালি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের। কিন্তু নিয়তি অন্যরকম। পারিবারিক কবরস্থানে ঠাই হলো তাদের। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ঢাকার কাচ্চি ভাইয়ের আগুনে মারা যাওয়া কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), মেয়ে সৈয়দ কাশফিয়া (১৭)ও সৈয়দা নূর (১৩) ও ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহর (৭) মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে বাদ আছর তাদের জানাজা হয় বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পাশের মাঠে। পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে দাফন করা হয় তাদের ৫ জনকে। বিকেল ৩টায় ৪টি ফ্রিজিং গাড়িতে করে তাদের ৫ জনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছার পর স্বজনরা ছাড়াও গ্রামের শতশত মানুষ ভীড় জমান।
কাউসারের চাচাতো ভাই সৈয়দ আবুল ফারাহ তুহিন জানান, আজ (শুক্রবার) বাড়িতে এসে সোমবার পর্যন্ত এখানে থাকার কথা ছিল। রোববার সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে উপজেলায় যাওয়ার কথা ছিল তার। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাউসার ও তার পরিবারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হন স্বজনরা। এ খবর বিশ্বাস হতে হচ্ছিল না কারো। সকালে পারিবারিক গোরস্থানে পাশাপাশি ৫টি কবর খননের কাজ শুরু হয়। নেওয়া হতে থাকে জানাজার প্রস্তুতি।
১৫ বছর ধরে ইতালি প্রবাসে রয়েছেন তার ছেলে। ৪ বছর পর দেশে আসেন মাস খানেক আগে। ১০ মার্চ আবার ইতালি ফিরে যাওয়ার কথা ছিলে কাউসারের। এবার স্ত্রী-সন্তানদেরও সাথে করে নিয়ে যেতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের কাউসার, স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন সেখানে।
মা হেলেনা বেগম বলেন, '৪ বছর ধরে পুত আইয়েনা, কতো ফোন দিছি পুতরে আইতো। পুততো আইছে শেষ বিদায় লইয়া। বাজার-সাজার কইরা সাজাইয়া থুইছি,পুত আইতাছে।‘
কাউসারের পরিবার রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটেই বসবাস করতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, এরআগে গত সপ্তাহে বাড়িতে এসেছিলেন একবার কাউসার। শুক্রবার এসে একেবারে বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ৩ ভাইয়ের মধ্যে কাউসার ছিলেন মেঝ। তার বড় ভাই সৈয়দ সোহেবও ইতালি থাকেন। আরেক ভাই সৈয়দ আল আমিন দেশে ব্যাংকে চাকরি করেন। তার পিতা মৃত আবুল কাশেম।