মিজানুর রহমান পাটোয়ারী ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ)

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভৈরবে অভিযোগ

বেতন না দেওয়ায় ২৫ শিক্ষার্থী ক্লাশের বাইরে

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কিশোরগঞ্জ ভৈরবে বিশেষ ক্লাসের বেতন না দেওয়ায় ২৫ শিক্ষার্থীকে ক্লাশ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌর শহরের কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে।

২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) তিন শিক্ষককে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবস্থান নেয় ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন-ওই উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী এনায়েত উল্লাহ, লোকমান হোসেন ও আজিজুল হক।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষার জন্য তাদের কোন ক্লাস হচ্ছে না। তবে বিশেষ ক্লাসের নামে একটি ক্লাস চালু রয়েছে। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ ক্লাশ বাধ্যতামূলক করতে হয়। ক্লাসের বেতন ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। মাসিক পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। মোট ৬০০ টাকা তাদের দিতে হচ্ছে। কিছু শিক্ষার্থী অস্বচ্ছল পরিবারের তাদের সামর্থ্য নেই। টাকার জন্য তারা পরীক্ষায় দিতে পারেনি। এ ছাড়া ক্লাসে না গেলে ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ও বেতন দিতে না পারলে শিক্ষকরা অসাধাচরণ করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।


  • বিশেষ ক্লাশ বাধ্যতামূলক, না গেলে ৫০ টাকা জরিমানা
  • যে করেই হোক টাকা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ
  • অভিযোগ অস্বীকার শিক্ষকদের, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ইউএনওর

শিক্ষার্থী তারেক মিয়া, প্রত্যয়, শহিদুল হক তমাল, সৌরভী আক্তার জানান, বিশেষ ক্লাসের নামে বেতন দেওয়া লাগে ও ক্লাসে না যেতে পারলে জরিমানাও দিতে হয়। না দিতে পারলে থাকতে হচ্ছে ক্লাশের বাইরে।

কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লেফটেন্যান্ট অহিদুর রহমান এ বিষয়ে জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শুধু দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, যদি কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক এনায়েত উল্লাহ অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে কোন রকম খারাপ ব্যবহার করিনি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে।’ বাকি দুজন শিক্ষকও অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেছেন।

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার স্বপ্না বেগম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। ইউএনও স্যার বিষয়টি অবগত হয়েছেন। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি কি করা যায়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ এ বিষয়ে জানান, শিক্ষার্থীদের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কিশোরগঞ্জ,ভৈরব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close