বান্দরবানে ৩১৫ জন দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ভার্টিকাল ড্রিমার আল্ট্রা ম্যারাথন হয়েছে। ৫২ কিলোমিটার ও ২৫ কিলোমিটারের এই ম্যারাথনে সহোযোগিতা করে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে জেলা শহরের স্থানীয় রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় ভার্টিকাল ড্রিমার আল্ট্রা ম্যারাথন দৌড়। জেলার চিম্বুক পাহাড় ছুঁয়ে আবারো রাজার মাঠ অবধি দৌড়ে আসেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩১৫ জন দৌড়বিদ।

ম্যারাথনে চিম্বুক থেকে ফিরে ২৫ কিলোমিটার দৌড়ে আলমগীর হোসেইন ও ৫২ কিলোমিটারে আব্দুর রহমান প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেনা রিজিয়নে রিজয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সেনা জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম মাহমুদুল হাসান, ম্যারাথনের সদস্যসহ প্রতিযোগিতা ও ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দৌড়বিদরা বলেন, এর তারা সমতলে অনেকবার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু পাহাড়ের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। আঁকা-বাকা, উঁচু-নিচু সড়কে দৌড়ানো একদিনে রোমাঞ্চকর, অন্যদিকে বিপদজনকও। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে দৌড়ে খুশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির পরিচালক ফরহান হোসেন বলেন, পাহাড়ের বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা উঁচু-নিচু সড়কের এ ম্যারাথন অনেকটা উত্তেজনাপূর্ণ। সুস্থ্য থাকার জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করলেও শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য সবাইকে প্রতিদিন দৌড়াদৌড়ি বা হাঁটাহাটি করার আহ্বান জানান তিনি।

সেনা রিজিয়নে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চাই সম্প্রীতি বান্দরবানে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে মিলনবন্ধন থাকুক। সবার পাশে আমাদের সেনাবাহিনী সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।

ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স ক্লাবের ফাউন্ডিং মেম্বার বাবর আলী জানান, সেনাবাহিনীর সহযোগিতা না পেলে ম্যারাথন আয়োজন ম্ভব হতো না। এই প্রতিযোগিতায় চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল টিম ব্যাপক অবদান রয়েছে।

পিডিএস/আরডি