মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
দফায় দফায় বৃষ্টি, চায়ের আশীর্বাদ আলুর অভিশাপ
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আজকের দুই দফাসহ গত ৩ দিনে দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে চায়ের কুড়ি গজানোয় সহায়তা হবে তেমনি এ ধরণের আগাম বৃষ্টিতে অনেক সময় আলুতে পচন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে জানা গেছে। এ বৃষ্টির পরিমাণ ১২৭-১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত। অনেক এলাকায় হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় শহরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল।
সিলেট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ টায় প্রথম দফা বৃষ্টি শুরু হয়। মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টিও হয়। এরপর রাত দেড় টার দিকে গত বুধবার রাতে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার দিনে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে হওয়া এ বৃষ্টি ফল ফলসের জন্য অনেক ভালো ফলাফল নিয়ে এসেছে। এমনকি চায়ের কুড়ি গজানোর জন্য এই বৃষ্টি অনেকটা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তবে মৌসুমের শেষ পর্যায়ের বৃষ্টি আলু চাষিদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
সিলেট আবাহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার মাহমুদুল হাসান সোহেল জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশ এখনো মেঘাচ্ছন্ন। আগামী ২-৩ দিন আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
- এ ধরণের আগাম ভারী বৃষ্টিতে অনেক সময় আলুতে পচন ধরতে পারে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক।
- তবে এ বৃষ্টির ফলে দ্রত চায়ের কুড়ি গজাতে সহায়ক হবে জানান চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার (মহাব্যবস্থাপক)।
এদিকে ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, এখন চায়ের কুড়ি গজানোর সময়। গাছগুলো মরে যাচ্ছিলো। এই বৃষ্টি দ্রত চায়ের কুড়ি গজাতে সহায়ক হবে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক (ডিডি) মো. শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ কয়েকদিনের বৃষ্টি সব ধরনের ফল, ফসলের জন্য উপকার বয়ে এনেছে। শুধু আলুর জন্য কিছু ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে জেলার চরাঞ্চলে ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে গোল আলু চাষ হয়েছিলো। এখনো সেগুলো মাঠে রয়ে গেছে। এ ধরণের আগাম ভারী বৃষ্টিপাতে অনেক সময় আলুতে পচন ধরে যায়।
পিডিএস/এস