কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় ৩ সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার ও দৈনিক কালবেলার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরাপার্সন এস আই সুমন ও বিদ্যুৎ খন্দকার নামে ৩ সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগরে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিকেদের দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। এ সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ৩ সাংবাদিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা জানান, দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের আবুল কাসেমের দ্বিতীয় পুত্র কামাল হোসেন নিজের ব্যাক্তিগত তথ্য গোপন করে চাচা আহসানুল হাবীব মোল্লাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এডমিন ক্যাডারে চাকরি পান। বর্তমানে তিনি ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাচাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়ার এমন তথ্য পেয়ে প্রতিবেদনের জন্য সরেজমিন খোজ-খবর নিতে বৃহস্পতিবার শরীফ বিশ্বাস তার ক্যামেরাপার্সন সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক বিদ্যুৎ খন্দকারকে সাথে নিয়ে কামাল হোসেনের নিজ গ্রাম সিরাজনগরে যান।

সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি জানতে পেরে আহসানুল হাবিব মোল্লার ছেলে বাচ্চুর নেতৃত্বে ১২ জন সন্ত্রাসী তাদের উপর চড়াও হয়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠিসোঠা দিয়ে ওই ৩ সাংবাদিকেকে বেধড়ক মারপিটসহ তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তারা মুক্ত হয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাসসহ ৩ সাংবাদিকের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংবাদিক সংগঠন। অবিলম্বে এ হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাংবাদিকরা। এদিকে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা চত্বরে বিক্ষোভ করেছে সাংবাদিকরা।

আহত সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাঠের চলা ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। ক্যামেরা ভাংচুর করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ দুইজন আসামিকে আটক করেছেন বলে জানা গেছে।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে শুনেছিলাম। বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইন অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই হামলার ঘটনায় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সন্ত্রাসী হামলা,সাংবাদিক,কুষ্টিয়া
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close