পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
পার্বতীপুরে বাড়ছে নানা রোগ মুক্তির সবজি স্কোয়াশ চাষ
স্কোয়াশ একটি জনপ্রিয় সবজি হিসেবে বিদেশিদের কাছে অনেক আগে থেকেই পরিচিত। তবে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় এই বিদেশি ফসল স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষিরা। কৃষি মংশ্লিষ্টদের মতে, বেলে ও দোঁয়াশ মাটিতে এ সবজি চাষ ভালো হয়। এদিকে এটি খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে জানান উপজেলায় স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের পুষ্টিবিদ।
স্কোয়াশ একটি উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষাবাদ বাড়ছে। প্রতিটি স্কোয়াশ গাছে ১২ থেকে ১৫ টির মতো ফল ধরে। এটি লম্বায় দেখতে বাঙ্গীর মতো ও মিষ্টি কুমড়ার ন্যায় সবুজ।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় দেড় হেক্টর জমিতে স্কোয়াশের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ হয়েছে। শীতকালিন সবজি হিসেবে আগাম মাঠ থেকে বিক্রি করেছে অনেকে।
কৃষানী মন্জুয়ারা বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্কোয়াশ চাষাবাদ সম্পর্কে জানতে পারি। পরে আগ্রহী হয়ে উঠি এবং কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগীতা পাই। এ সবজির ফলন অনেক ভালো হয়। বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করায় বেশ লাভবান হয়েছি। পরবর্তীতে এই সবজির আবাদ বৃদ্ধি করার চেষ্টায় আছি। তিনি আরও জানান, কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও পরামর্শে হলুদ আঠালো ফাঁদ ও কেরোমন ফাঁদ ব্যাবহার করায় খতিকর পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম হয়েছে। ফলে কীটনাশক ব্যাবহার করতে হয়নি। যে কারনে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আমাদের খরচ কমেছে।
পার্বতীপুর স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের পুষ্টিবিদ মনোয়ারুল কবির জানান, সারা দেশে স্কোয়াশ সবজির ব্যাবহার শুরু হলে অন্তত কয়েক বছরেই শতকরা ৫০ ভাগ ডায়াবেটিস, ক্যানসার হৃদরোগীর সংখ্যা কমে যাবে।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জানান, স্কোয়াশ সবজি হিসেবে খুবই সুসাদু এবং ফলনও ভালো। উচ্চ মূল্যের ফলন হিসেবে অধিক লাভজনক হওয়ায় এটির চাষবৃদ্ধির জন্য কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করা হচ্ছে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে।
পিডিএস/এস