মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
খালের ওপর বাড়ি-দোকান উদ্ধার নেই উদ্যোগ
কুমিল্লার মুরাদনগর সরকারি খাল ভরাট করে পাকা বসতবাড়ি, দোকান নির্মাণসহ নানাভাবে দখল করছে প্রভাবশালীরা। উপজেলার মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে ঘোড়াশাল খেলার মাঠ পর্যন্ত খালের অংশ নিশ্চিহ্ন প্রায়। সদর ইউনিয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় থাকলেও, কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে দিন দিন অস্তিত্ব হারাচ্ছে খালটি। ঘোড়াশাল খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল এলাকার হাজী মুকসত আলী গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসার সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। খালপাড় এলাকার শামসু মোল্লা, খালেক মোল্লা, বাবুল মিয়াসহ অন্যরা খালটি দখলে রেখেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না কেউ।
- মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে ঘোড়াশাল খেলার মাঠ পর্যন্ত অংশ নিশ্চিহ্ন প্রায়।
- উপজেলা ও সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের উদ্যোগ নেই খাল পুনরুদ্ধারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়ে, শতবর্ষী খালটি দিয়ে আগে নৌকা চলাচল করত। নৌযান ব্যবহার কমে আসানয় খালটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পয়নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে খালের বিভিন্ন অংশে পাকা স্থাপনা তৈরি ও ড্রেজার দিয়ে ভরাট করায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে খালটি। দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের উপসহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) খায়রুল আমান আরিফ খাল দখলের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কতটুকু দখল হয়েছে সেটা সার্ভেয়ারের মাধ্যমে পরিমাপ করার জন্য রিপোর্ট করেছি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, ‘দখলদারদের কবল থেকে খালটি পুনরুদ্ধারের জন্য আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে মুরাদনগরের বেদখল হওয়া সব খাল উদ্ধার করা হবে।’
পিডিএস/এস