বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শার্শায় শহিদ মিনার নেই শত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৫। এর মধ্যে শহিদ মিনার আছে মাত্র ২৪টি বিদ্যালয়ে। ফলে উপজেলার চার-পঞ্চমাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, বাঁশ-কাঠ অথবা মাটি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শহিদ মিনার বা অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয়ভাবে অনুদান সংগ্রহ করে শহিদ মিনার নির্মাণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এর জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। তবে শিক্ষকরা বলছেন, একটি শহিদ মিনার নির্মাণে যে ব্যয় হয়, তা স্থানীয়ভাবে জোগাড় করা কঠিন ব্যাপার।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শার্শা উপজেলায় ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৪টিতে শহিদ মিনার রয়েছে। শহিদ মিনার নেই ১০১টি বিদ্যালয়ে। এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে।

বেনাপোল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা মোসাম্মদ জেবুন নেছা আলো বলেন, ‘শহিদ মিনার নির্মাণে কোনো বরাদ্দ নেই। আর স্থানীয়ভাবে হাজার হাজার টাকা জোগাড় করে শহিদ মিনার নির্মাণ করা অসম্ভব ব্যাপার। একমাত্র সরকারি অর্থায়নে ছাড়া সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ সম্ভব না।’


  • উপজেলায় ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার রয়েছে মাত্র ২৪টিতে।
  • বাঁশ-কাঠ, কলাগাছ ও মাটি দিয়ে তৈরি শহিদ মিনার শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষার্থীরা।
  • সরকারি অর্থ বরাদ্দ নেই, স্থানীয়ভাবে জোগাড় করা নির্দেশ বিদ্যালয়কে।
  • স্থানীয়ভাবে শহিদ মিনার নির্মাণের ব্যয় জোগাড় অসম্ভব বলছেন শিক্ষকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওয়ালিয়ার রহমান বলেন, ‘প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকা জরুরি। কিন্তু সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় তা হচ্ছে না। যেগুলোতে আছে সেগুলো স্থানীয়ভাবে করা হয়েছে। শহিদ মিনারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ থাকলে ভালো হয়।’

যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আমিরুল আলম খান বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে চলে। এ কারণে শহিদ মিনার নির্মাণের দায় একেবারেই সরকারের। সরকারি উদ্যোগেই শহিদ মিনার হওয়া উচিত।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, ‘শহিদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নেই। তারপরও সব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্থানীয়ভাবে অর্থ জোগাড় করে শহিদ মিনার নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করা হবে।’

শার্শা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইজ্জত আলী বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে অনুদান সংগ্রহ করা কঠিন ব্যাপার। তাছাড়া একটি শহিদ মিনার নির্মাণে কয়েক হাজার টাকা দরকার। যা স্থানীয়ভাবে জোগাড় করা সম্ভব না।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যশোরের শার্শা,শহিদ মিনার,শহিদ মিনার নির্মাণ করার পরামর্শ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close