কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শহীদ মিনারের ফটক মুত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।-প্রতিদিনের সংবাদ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার যেন মুত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত হয়েছে। শহিদ মিনারের মূল ফটকের সামনে পথচারী, অটোরিকশা, সিএনজি চালক থেকে শুরু করে যাত্রীরা সকলেই শহিদ মিনারের দেয়ালে মুত্র ত্যাগ করে। এতে শহিদ মিনারটিকে অসম্মান করা হচ্ছে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়হরি স্পাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন পুনসংস্কার করা শহীদ মিনারের সামনের সড়কে থাকে সিএনজি অটোরিকশা। আর এগুলো চালক এবং আশপাশের মানুষ প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে শহীদ মিনারের ফটক এবং দেয়ালকে মলমুত্র ত্যাগের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু ২১ শে ফেব্রুয়ারীর আগে কিছুটা পরিষ্কার করে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে সম্মান জানিয়ে চলে যাবার পর সারাবছর অযত্ন অবহেলা পড়ে থাকে শহিদ মিনারটি। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার প্রশাসনের কারোই নজরে পড়েনা শহিদ মিনার। অথচ কেন্দুয়া প্রবেশ করতেই সামনে পড়বে শহীদ মিনারটি। পৌরসভা এবং উপজেলা দুই দিকের প্রশাসনের কারোই নজরে আসছে না জানায় স্থানীয়রা। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয় অনেকে বলেন, বাংলা ভাষা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও নিজেরাই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যেক অবমাননা করছে।

স্থানীয়সহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা জানান, প্রশাসন উদ্যোগ নিলে অভ্যস্থ হওয়া সাধারণ মানুষ এমন কাজ আর এখানে করবে না। এদিকে গাড়ি চালক অনেকেই ভাষার মাসের এবং দিবসের গুরত্ব সম্পর্কে না জানলেও বেশির ভাগ চালক জানে এবং মানার চেষ্টা করে।

সিএনজি চালক কামরুজ্জামান বলেন, সালাম রফিক বরকত আমাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাদের স্মরণে এই শহীদ মিনারের সামনে এবং দেয়ালে মুত্র ত্যাগ খুবই লজ্জার। তবে তিনি দাবি করেন শহীদ মিনারের সামনে সড়কে অনেক আগে থেকেই সিএনজি এবং অটোরিকশা ট্যান্ড রয়েছে যে কারণে তাদের এখানে আসতে হয়। এবং অনেকে শহিদ মিনারের দেয়ালে জেনে না জেনে মুত্র ত্যাগ করে।

ওই এলাকার তরুণ প্রজন্মের মেহেদী হাসান বলেন, শহীদ মিনারের দেয়ালটিতে মুত্র ত্যাগ করে যাচ্ছে এখানকার লোকজন। সাধারণ মানুষের তো এসব নিয়ে ভাবনা নেই। কিন্তু প্রশাসন নজরদারী করলে এ সব তো দূরের কথা মানুষ থুতু ফেলতে সাহস করবে না।

কেন্দুয়া ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব হোসেন, ১৪ তারিখ আমাদের মিটিং রয়েছে। এই দিন শহিদ মিনারের বিষয়ে আলোচনা হবে। এবং যা যা করনীয় তা করা হবে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কেন্দুয়া পৌরসভা,নেত্রকোনার কেন্দুয়া
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close