চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
খাস জমি দখলের অভিযোগ
চরফ্যাশনে বিলুপ্ত হচ্ছে বাজার, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
![](/assets/news_photos/2024/02/12/image-441633.jpg)
ভোলার চরফ্যাশনে ঘোষেরহাট বাজারের খাস জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা সামসুউদ্দিন মাঝিসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালীদের থাবায় বিলুপ্ত হচ্ছে বাজারের জমি ও রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এমন অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
জানা যায়, উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চর যুমনা মৌজায় ৫০ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় ২০ শতাংশ জমির ওপর ঘোষেরহাট বাজার গড়ে তোলা হয়। কিন্তু নির্মিত বাজারের ১২ শতাংশ জমিতে সাপ্তাহিক হাট ও স্থানীয় সরকারে আওতায় বাজারের উন্নয়নের টলঘর ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়। অবশিষ্ট ৮ শতাংশ জমি পরিত্যক্ত থাকার সুযোগে দখলকারীদের থাবায় কমে যাচ্ছে বাজারের খাস জমি। এতে বিলুপ্ত হচ্ছে বাজার ও রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের মূল ভুখণ্ডে বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন ৮ শতাংশ পরিত্যক্ত খাস জমি রাতের আধাঁরে দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান না থাকায় বাজারের খাস জমি দখল হচ্ছে।
অবিযুক্ত সামসুদ্দিন মাঝি বলেন, ‘ওইখানে আমাদের জমি রয়েছে। ওই জমিতে নির্মাণ কাজ করতে গেলে প্রশাসন বাধা দেন। কি কারণে বাধা দেন তা জানি না।’
নীলকমল ইউনিয়নের (ইউপি) সদস্য বাবুল জানান, জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও নীরব রয়েছেন ভূমি প্রশাসন। নেই কোন উচ্ছেদ অভিযান বলেও জানান তিনি।
নীলকমল ইউনিয়নের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহীত জানান, সরকারি খাস জমি দখল করে ঘর নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি অবৈধভাবে জমি দখল করে তাহালে দ্রুত বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পিডিএস/আরডি