ভোলা প্রতিনিধি

  ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভোলায় ২ মাস ধরে ভ্যাকসিন সংকট

ভোলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে।-প্রতিদিনের সংবাদ

ভোলায় ২ মাস ধরে নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকা সহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে প্রতিদিনই অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। এতে তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে টিকার জন্য ঢাকায় চাহিদা পত্র পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভোলায় এক বছরে ৬৪ হাজার শিশুকে প্রতিটি টিকা দিয়ে হয়। জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি টিকা কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে ১০টি রোগের টিকার মধ্যে কেবল ৩টি টিকা মজুদ রয়েছে।

টিকা নিতে ভোলা পৌরসভার মিজি বাড়ি থেকে আসা আশা অভিভাবক নাহিদা লায়লা নাসরিন, ও ফাতেমা জানান, শিশুর টিকার জন্য এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্র ছুটছেন সন্তানের বাবা-মা। এরপরও মিলছে না টিকা। তাই ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়েই। দুই মাস ধরে ভোলায় ২ মাস ধরে নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকা সহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট তারিখে শিশুদের টিকা নিতে গিয়ে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে অভিভাবকরা। ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রে থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালে মিলছে না এসব টিকা।


  • বর্তমানে ১০টি রোগের টিকার মধ্যে কেবল ৩টি টিকা মজুদ রয়েছে।
  • নির্দিষ্ট সময় টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর এলাকার আকলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ৩টি টিকা দেওয়া হয়েছে। ৪র্থ ধাপের টিকার জন্য স্থানীয় স্যাটেলাইট ক্লিনিকে গেলেও টিকা মেলেনি। পরে হাসপাতাল এসেছি। সেখানেও নেই। এতে আমরা খুব চিন্তার মধ্যে আছি। সঠিক সময়ে যদি টিকা না দিতে পারি তাহলে দুচিন্তার শেষ নেই।এতে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে অভিভাবকরা। তাই দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করার দাবি অভিভাবকদের।

আলী নগর ইউনিয়নের স্যাটেলাইট ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল নাঈম ও মো. হোসেন জানান, শিশুদের পিসিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট এই তিনটি ভ্যাকসিন না থাকায় শিশুদের নিয়মিত টিকা দিতে পারছেনা। এতে করে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

ভোলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান আহমেদ জানান, টিকার জন্যে আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে। তবে টিকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তা শিশু স্বাস্থ্যে খাতে কোনো বিরুপ প্রভাব পড়বে না বলে জানান।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভোলা জেলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র,ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close