হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
বাহুবলে অভিযোগ
কৃষকদের না জানিয়ে কালিশিরীর অংশ বিক্রি ইউপি চেয়ারম্যানের
হবিগঞ্জে কালিশিরী নদীর মাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক রাহিনের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে বোরো জমি চাষাবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় শংকরপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ওয়াসির মিয়া বাদি হয়ে শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি) বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগে স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক রাহিন, ফতেহপুর গ্রামের মৃত ছাবু মিয়ার ছেলে সুফি মিয়া ও একই গ্রামের ছালিম উল্লাহর ছেলে ছাও মিয়াকে আসামী করা হয়েছে। উপজেলার ৩ নম্বর সাতকাপন ও ১ নম্বর স্নানঘাট ইউনিয়নের উপর বয়ে যাওয়া কালিশিরী নদীর পানি দিয়ে স্থানীয় খালাখারৈল, শংকরপুর, নারিকেলতলা, সাইসা, করিমপুর, আব্দাকামাল, চকহায়দর, ভাবনাকান্দি ও সাতপাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে বরো জমি চাষাবাদ ও মাছ আহরণ করে আসছেন। সম্প্রতি স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হক রাহিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালিশিরী নদীর প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ অবৈধভাবে একই গ্রামের ছাও মিয়ার কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে মাছ আহরণ করতে ছাও মিয়া ৫টি মেশিন বসিয়ে পানি সেচের মেশিন বসিয়ে নদী থেকে পানি উত্তোলন করছেন। এতে নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার কৃষকদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নারিকেল তলা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক এলাকার কৃষকদের না জানিয়ে মাছ আহরণের জন্য নদীর একটি অংশ বিক্রি করেছেন। এতে বোরো চাষাবাদে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির কবলে পড়তে হবে।
এছাড়া সাইসা গ্রামের কৃষক আব্দুস শহীদ, মহিষদুলং গ্রামের কৃষক বিরাম উদ্দিন ও সংকরপুর গ্রামের কৃষক ওয়াসির মিয়া জানান, চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক রাহিন কয়েকজনের সহযোগিতা নিয়ে অবৈধভাবে নদীটি বিক্রি করেছেন। এতে পানি সেচ দেওয়ার ফলে জমি চাষাবাদে আমাদের বিঘ্ন দেখা দিবে। এতে ১৮টি গ্রামের শতশত কৃষকদের জমি চাষাবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সরকারী নদী আমি বিক্রি করার কে। স্থানীয় কৃষকরা জমি চাষাবাদে নদীর পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা মাছ আহরণ করার জন্য কৃষকদের বাধা দিচ্ছে।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, নদী থেকে পানি সেচের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিডিএস/আরডি