রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
কৃষকের ধান ঘরে তোলার পর সেই কৃষি জমিতে পড়েছে মাটি ব্যবসায়ীদের প্রভাব। রাতের আঁধারে কিংবা দিন দুপুরেই ফসলি জমির মাটি কাঁটা হচ্ছে। মিনি পিকাপ এবং ট্রাকে করে দৈনিক হাজারের অধিক গাড়ি মাটি কেঁটে ধ্বংস করা হচ্ছে ফসলি জমি। এ চিত্র দেখা গেছে কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত শনিবার রামু উপজেলার পাঞ্জেগানা স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার ভেতরে সংরক্ষিত বনভূমির অধীন ফসলী জমির মাটি স্কাভেটর দিয়ে কাঁটা হচ্ছে। আর সেই মাটি ইটভাটায় এবং ভূমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায়। একই চিত্র দেখা গেছে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি জমিতেও। ইউনিয়নের মাঝের পাড়া, ঘোনার পাড়া বিলগুলোতে দিনে রাতে মিনি পিকাপযোগে মাটি কেঁটে ধ্বংস করা হচ্ছে ফসলি জমি। শুধু ফসলি জমির মাটিই নয়, সুযোগে পাহাড় কেঁটেও ভিটে বানাতে দেখা গেছে কাউয়ারখোপ ও বান্দরবান জেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একাধিক জায়গায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রামু উপজেলায় বিভিন্ন দলের রাজনীতিতে যুক্ত নেতাকর্মীরা এসব ফসলি জমির মাটি অপরিকল্পিতভাবে কেঁটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে। তবে প্রভাবশালী এসব রাজনীতিবিদদের ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় সাধারণ বাসিন্দারা।
পান্জেগানা এলাকার ফসলি জমির মাটি কে কাঁটছেন জানতে চাইলে সেখানে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিনি পিকাপ চালক জানান, ফয়েজ মেম্বার এখানকার মাটি কাঁটছেন। অন্যদিকে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পাশে গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বোমাংকিল ও রাজঘাটে ফসলি জমির মাটি কেঁটে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরান চৌধুরী মারুফের বিরুদ্ধে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাহরান চৌধুরী মারুফ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ ছাড়া অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফয়েজ মেম্বারের মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার সংযোগের চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, গতকালকেও কাউয়ারখোপে অভিযান করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চলমান আছে, অব্যাহত থাকবে।
পিডিএস/এস