শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
গাবুরায় বাস্তুচ্যুত হাজারো পরিবার, গুচ্ছগ্রামের দাবি
![](/assets/news_photos/2024/02/11/image-441372.jpg)
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বেড়িবাঁধের দুপাশে বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজারো পরিবার। জানা যায়, উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার আইলা, সিডরসহ বেশ কিছু দুর্যোগে বিধস্ত। ইউনিয়নটিতে মেগা প্রকল্পের ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গাবুরা ইউনিয়নকে সরকার এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেগা প্রকল্পের কাজও শুরু করেছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা, চাঁদনীমুখা, হরিশখালি ডুমুরিয়াসহ বেশ কিছু এলাকার বেড়িবাঁধের ধারে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যথায় সরে যাওয়ার জন্য আদেশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিন বসতি থেকে ঘর বাড়ি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করেছে।
তবে ওই এলাকার বসতি মানুষের বাস্তভিটা থেকে চ্যুত হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না বেশ কিছু পরিবারের। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বেড়িবাঁধে ঘর বেঁধে সারা জীবন বসত করে আসছি। বাপ-দাদাদের পৈত্রিক সম্পত্তি না থাকায় এসব স্থানে ঘর বেঁধে বসবাস করতাম। হঠাৎ এই ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ায় অন্যখানে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় আজ আমরা গৃহহারা।
৯ নম্বর সোরা গ্রামের ইয়াকুপ শেখ বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে বাস করে আসছি। আজ আমাদের ঘর ভেঙে দিতে হচ্ছে। আমরা এখন কোথায় যাব। সরকার আমাদের জন্য ৯ নম্বর সোরার চরে গুচ্ছগ্রাম করে দিক।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই বেড়িবাঁধের কারণে আইলার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে গাবুরাবাসী।
গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, ৯ নম্বর সোরা নদীর চরে হাজার হাজার বিঘা জমি পড়ে আছে। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি গাবুরায় গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে দিত তাহলে এই মানুষগুলো ঠাঁই খুজে পেত।
পিডিএস/জেডকে