সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্থানীয় ও প্রশাসনের উদ্যোগ

‘দূর পাহাড়ে উচ্চ শিক্ষার আলো’

জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণকাজের উদ্ভোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

খাগড়াছড়ির জেলার দীঘিনালায় মেরুং ইউনিয়নের দুর্গম লম্বাছড়া এলাকায় জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সহিদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভূমি দাতা শান্তি বালা ত্রিপুরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হাসনাত খাঁন, খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আর্থপেডিক সার্জন ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অত্র এলাকার সাধারণ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানসম্মত শিক্ষার কথা চিন্তা করে স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এ ছাড়াও তিনি উপস্থিত সকলকে এ প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করানোর আহবান জানান।

খাগড়াছড়ির আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আর্থপেডিক বিভাগের সার্জন ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে ডিসি মহোদয় দুর্গম এলাকায় উচ্চ শিক্ষার আলো দেখালেন। এতে ১৩টি গ্রামের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য কষ্ঠ লাঘব হবে।’

অনুষ্ঠানজুড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে স্কুল প্রতিষ্ঠার মূলে যিনি ছিলেন তার নাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘দুর্গম লম্বাছড়া গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা ও তার পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণাতেই এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠায় তার দেখানো পথেই হেঁটেছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।’

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ দুরে দুর্গম লম্বাছড়া এলাকা। যোগাযোগ ও চলাচল ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দুর্গম এলাকা থেকে এসে লেখাপড়া করা সম্ভব হচ্ছিলো না। যার ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল ১৩টি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, ‘গ্রামের কয়েকজন শিক্ষানুরাগীদের প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে লম্বাছড়াবাসীর।’

পরে সদ্য ভর্তিকৃত অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। এর বাইরে স্থানীয়দের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উচ্চ শিক্ষার আলো,পাহাড়,খাগড়াছড়ি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close