বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

নাটোরের বড়াইগ্রাম

এমপির লোকজন নিয়ে ‘পাট চাষ’ প্রশিক্ষণ!

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নাটোরের বড়াইগ্রামে পাট উৎপাদনকারী চাষীদের বাদ দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্যের (এমপি) অনুসারী কর্মী ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে পাট চাষের প্রশিক্ষণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি অর্থ গচ্ছা ও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এমপি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে একদিনের ওই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে পাট অধিদপ্তর। উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মোছা. মরিয়ম খাতুন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রাসেল।

জানা গেছে, প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে ৭০ জন অংশগ্রহণকারী ছিলেন। এর মধ্যে অর্ধেকই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর অনুসারী কর্মী ও তার মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। বাকিদের মধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন নেতার মনোনীত কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও পাট অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের লোকজন ছিলেন। কিন্তু প্রশিক্ষণে পাট উৎপাদনকারী প্রকৃত চাষীরাই ছিলেন না।


  • অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকই এমপির অনুসারী কর্মী ও তার মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
  • প্রশিক্ষণে ছিলেন না পাট উৎপাদনকারী প্রকৃত চাষীরাই।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে একটি করে উন্নতমানে পাটের ব্যাগ, খাতা-কলম, দুপুরের খাবার ও নগদ ৫০০ টাকা সম্মানী দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন জুয়েল। এতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, অন্যদের মধ্যে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু হানিফ, পাট অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান, পাট উন্নয়ন অধিদপ্তর নাটোরের মুখ্য পরিদর্শক আব্দুল হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা পাট অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা সঠিক পাটচাষীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছিলাম। কিন্তু এমপি সেগুলো কেটে তার পছন্দমতো নাম পাঠান। আমরা সেই মতে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

দুপুরের খাবারের নিম্নমান প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, বাজেট বা খাবারের কোনো তথ্য তার জানা নাই। এগুলো জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জানেন।

জানতে চাইলে অভিযোগ স্বীকার করে এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আমি যাদের নাম দিয়েছি, তারা প্রকৃতই কৃষক।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নাটোর,বড়াইগ্রাম,প্রশিক্ষণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close