শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

সেতু ভেঙেছে সাত মাস, ভরসা কাঠের সেতু

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৭ মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে জিকে সেচ প্রকল্পের ওপর নির্মিত সেতু।-প্রতিদিনের সংবাদ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রায় ৭ মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে জিকে সেচ প্রকল্পের ওপর নির্মিত সেতু। সেতু সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়ে কাজ হচ্ছে না। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজ অর্থায়নে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। ছোট যানবাহন চলাচল করলেও ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ মে উপজেলার চরপাড়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সেতু ভেঙে বালুবোঝাই একটি ট্রাক খালে পড়ে যায়। প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু নিজ অর্থায়নে ভাঙা সেতুর পাশে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন।


  • কাঠের সেতু দিয়ে মানুষ পার হতে পারলেও ভারি যানবাহন পার হতে পারছে না।
  • দুর্ভোগসহ যাতায়াতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেচ খালের সেতু ভেঙে পড়ে আছে। পাশেই এই সেচ খালের ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও সাধারণ মানুষ তাদের ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে। উপজেলা শহর হয়ে খুলুমবাড়ি গড়াই নদীর ঘাট পার হয়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের প্রধান সড়ক সেতু এটি। শৈলকুপার খুলুমবাড়ি, চরপাড়া, মাদলা, পূর্ব মাদলা, নলখোলা, জালশুকা, হাকিমপুর, ডাউটিয়া ও রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সুবর্ণখোলা, ভাতশালা, কেয়াগ্রামসহ প্রায় ৩০ গ্রামবাসী বিভিন্ন পণ্য নিয়ে শৈলকুপা বাজার ও খুলুমবাড়ি বাজারে যাতায়াত করে ওই কাঠের সেতু দিয়ে। তবে বড় যানবাহন যেতে আগের মতোই দূরের সেতু খুঁজে পার হতে হচ্ছে। স্থানীয় খুলুমবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস সেতু ভেঙে থাকায় প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ইচ্ছা থাকলেও নিয়মিত বাজারে আসা যায় না। আসতে না পারায় বাজারের ব্যবসায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কাঠের সেতু দিয়ে মানুষ পার হতে পারলেও ভারি যানবাহন পার হতে পারছে না।’

আব্দুল মান্নান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছিল। এতে দুর্ভোগসহ যাতায়াতে করতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। চেয়ারম্যানের সহায়তায় তিনি কাঠ দিয়ে সেতু তৈরি করে দেওয়ায় দুর্ভোগ কমেছে। তবে স্থায়ী সেতু দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।’

চরপাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি নিয়ে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেও বলা হয়েও কাজ হয়নি। বড় যানবাহনগুলো আগের মতোই অনেকপথ ঘুরে যাচ্ছে।

হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু বলেন, ‘জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজ অর্থায়নে কাঠের সেতু তৈরি করে দিয়েছি। তবে শিগগিরই এটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, এই সেতুর জন্য বরাদ্দ চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঝিনাইদহের শৈলকুপা,সেতু ভাঙা,দুর্ভোগে গ্রামবাসী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close