চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

আমন ও বোরোর মাঝামাঝি সরিষা চাষ, একই জমিতে বাড়তি আয় 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন প্রান্তিক কৃষকরা। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার আশায় বাড়তি ফসল হিসেবে এই চাষে আগ্রহ তাদের। কৃষি বিভাগের প্রণোদনার বীজ ও সার দিয়ে জমিতে বপন করা সরিষা মাস খানেকের মধ্যে কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করবে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ফলনও আশানুরুপ হবে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী অর্জিত হয়ছে এক হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ থেকে বারী-১৪, ১৫, ১৭ এই তিন জাতের বীজের দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।

সরিষা চাষি উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন বলেন, আমন ধান কাটার পর এক বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের দেওয়া প্রণোদনার বারী-১৪ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেছেন। তার এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা ফলন হবে, যার মনপ্রতি বাজার মূল্য ২৫০০-২৬০০ টাকা। সরিষার ঘরে তুলে একই জমিতে তিনি বোরো ধান রোপন করবেন।

পাত্রখাতা এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি অল্প সময়ে সরিষা চাষ করা হয়। এতে একই জমিতে তিনটি ফসল ঘরে উঠে এবং বাড়তি আয় হয়। এই অল্প সময়ে সরিষা চাষে বাড়তি আয়ে সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি অফিসের নির্দেশনায় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এবার সরিষার চাষে আশানুরূপ ফলন হবে।

চিলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, বর্তমানে দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে ২ হাজার ১০০ কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আশা আছে এবার সরিষার ফলন ভালো হবে এবং কৃষকরা লাভের মুখ দেখবে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রামের চিলমারী,সরিষা চাষ,বাড়তি আয়,
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close