মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে দুই গৃহবধূর আত্মহনন
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মিতু আক্তার (২১) নামে এক সেনা সদস্যের স্ত্রী ও শামীমা বেগম (৩৮) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) তাদের মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের সিহিরচোঁ গ্রামে ও রাজারগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহননকারী মিতু আক্তার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের সিহিরচোঁ গ্রামের মালের বাড়ির সেনা সদস্য আবু সাঈদ মাসুমের স্ত্রী। তবে মিতুকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি করেন। অপর আত্মহননকারী শামীমা বেগম রাজারাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের হাজী বাড়ির বাহরাইন প্রবাসী মো. ফারুক মোল্লার স্ত্রী।
মিতুর শ্বশুর আনোয়ার উল্যাহ্ জানান, তার ছেলে মাসুম ফোন করে বলছে, আপনারা ভাত খেয়ে নেন, আমার বাড়িতে আসতে দেরি হবে। তারপর বউসহ (মিতু) আমরা এক সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছি। পরে ছেলে বাড়িতে এসে তার রুমের লাইট জ্বালিয়ে দেখে এই অবস্থা (মিতুর গলায় ফাঁস)। তখন সে ডাক-চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ছুটিতে মাসুম বাড়িতে আসে।
অপর দিকে আত্মহননকারী শামীমা বেগমের ছেলে মো. সিয়াম জানান, তার বাবা বাহরাইন প্রবাসী এবং বর্তমানে তিনি বাহরাইনে আছেন। তারা এক ভাই ও এক বোন। শুক্রবার রাতে তারা ভাই-বোন ও মাসহ এক সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এর মধ্যে মা ও তার ছোটবোন এক সঙ্গে ঘুমায়।
তিনি বলেন, শনিবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে মাকে দেখতে না পেয়ে আমার বোন আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে। এরপর আমি আমাদের বসতঘরের পূর্ব দিকের কক্ষে গিয়ে দেখি মা গলায় ওড়না ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তাৎখণিক আমি ডাক-চিৎকার দিলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে আসে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, মিতু আক্তার ও শামীমা বেগমের মরদেহ তাদের নিজ নিজ বসতঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুইজনের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিডিএস/এএমকে